ঢাকা: করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে আবার সাধারণ রোগীদের (মেডিসিন রোগী) ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পরে শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে একই ভবনে করোনা রোগীদের পাশাপাশি নতুন করে ভর্তি নেওয়া হবে মেডিসিন রোগীদের।
এদিকে করোনা আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীরা চিকিৎসার জন্য নতুন ভবনে একই জায়গা, একই লিফট ব্যবহার করবেন। এতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার থেকে নতুন ভবনের ছয় ও সাততলায় মেডিসিনের রোগী ভর্তি শুরু করা হবে । এছাড়া আট ও নয়তলায় থাকবেন করোনা রোগীরা।
দেশে করোনা শুরুর কিছুদিন পর থেকে হাসপাতালের ১০ তলা নতুন ভবনে পুরোটাই করোনা রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। কর্তৃপক্ষ আরও বলছে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নতুন ভবনে এখনও করোনার আক্রান্ত প্রায় তিনশত রোগী ভর্তি আছে। করোনা রোগীদের পাশাপাশি মেডিসিন রোগীদের নতুন করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, নতুন ভবনে রোগীদের উপরের তলায় নেওয়ার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে লিফট। এখন একই জায়গা দিয়ে লিফটগুলোতে সাধারণ রোগীদের পাশাপাপাশি ও করোনা রোগীরা চলাচল করবে। সেই সঙ্গে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে স্বজনদেরও আসা যাওয়া বাড়বে। এতে সাধারণ রোগীরা কতটা নিরাপদ থাকবে সেটা ভেবে দেখা উচিত কর্তৃপক্ষের।
এছাড়া তৃতীয় তলায় কার্ডিয়াক ভাসকুলার সার্জারি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে, আর হৃদরোগ বিভাগ রোগী ভর্তি করা হবে শনিবার থেকে। পাশাপাশি একই তলায় পিসিসিইউ ও আইসিইউ আছে। সেখানে ভর্তি আছে করোনা রোগীরা।
এ ব্যাপারে ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সবকিছু মাথায় রেখে মেডিসিনের রোগী ভর্তি কার্যক্রম শনিবার শুরু হবে। করোনা যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি নতুন ভবনের লিফটগুলো ভাগ করে দেওয়া হবে। করোনা রোগীরা চলবে একদিক দিয়ে, মেডিসিনের রোগীরা চলবে আরেকদিক দিয়ে।
আর ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে করোনা আক্রান্তদের পাশাপাশি একই ভবনে মেডিসিন রোগীদের ভর্তি করা হবে। তবে করোনা রোগীদের চলাচলের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করা হবে। পরে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন পরিস্থিতি বুঝে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাতেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
এজেডএস/এমএমজেড