ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আসা প্লেনে ব্যবহৃত পানি পরীক্ষা করে দেখা জরুরি বলে জানিয়েছেন অণুজীববিজ্ঞানী ও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
করোনা ভাইরাসের সবশেষ এই ভ্যারিয়েন্ট কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ। এর মিউেটশনের তালিকা এত দীর্ঘ যে, বিজ্ঞানীরা একে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন। ইতোমধ্যে দেশে ওমিক্রন প্রতিরোধে ১৫ দফা পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে আমাদের কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশে সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। মাস্ক পরার বিষয়ে কোনো ঢিলেঢালা ভাব দেখালে হবে না, এটা বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
এ অণুজীববিজ্ঞানী বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরন বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে আসবে, ইতোমধ্যে এই ধরনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিনা, আমি জানি না। করোনার এই ধরন প্রতিরোধ করতে হলে যেসব দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত রয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা প্লেনের ওয়েস্ট ওয়াটারের পিসিআর টেস্ট করতে হবে। পিসিআর টেস্ট করলে বোঝা যাবে সেই প্লেন থেকে কোন ভাইরাস দেশে প্রবেশ করেছে কিনা।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন আমাদের বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, কর্তৃপক্ষ যদি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাসপেক্ট কান্ট্রি থেকে কোন ফ্লাইট দেশে আসলে তার ব্যবহৃত ওয়েস্ট ওয়াটার টেস্ট করে, তাহলে দেখা যাবে আগত প্লেনে ওমিক্রন ভাইরাস রয়েছে কিনা। এটা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি, এতে বোঝা যাবে কোন ভাইরাস দেশে এলো কিনা। আগত প্লেনে যদি ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি থাকে এবং সে যদি টয়লেট ব্যবহার করে তাহলে নিঃসন্দেহে ওয়েস্ট ওয়াটারে এই ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যাবে। এটা একটি অত্যন্ত ভালো টেকনিক এটা করতে পারলে অনেক ভালো হয়। ভাইরাস পাওয়া গেলে, ওই ফ্লাইটের লোকজনকে ট্রাক করে কোয়ারেন্টিন করা সহজ হবে। এই পদ্ধতি পৃথিবীর কোথাও নেই, আমরাই এটা প্রথম শুরু করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
আরকেআর/এএটি