ঢাকা: দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে দুজন শনাক্ত হলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আসছে।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নয়নকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞাসহ চিকিৎসক ও নার্সরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে গতকাল দুজন করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে তারা ভালো আছে। এতে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান এই ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান করার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। সেই সাথে মুজিববর্ষও পালন করছি। ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন বাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া ভারত স্বাধীনতার সময়ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ একসাথে কাজ করার প্রত্যয়ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
করোনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। তবে আমরা এর তৃতীয় ওয়েব চাচ্ছি না, দ্বিতীয় ওয়েবেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি।
এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্থাপন করা ভারতের উপহার দেওয়া অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসা কর্নারসহ আরো কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকায় একটি বড় ধরনের ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সারাদেশেও মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশের সব ক্রান্তিকালে ভারত পাশে এসে দাঁড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের দেশকে দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দেয়। এর একটি ঢাকা মেডিক্যালে স্থাপন করা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে অক্সিজেন সাপ্লাইও দিচ্ছে। মিনিটে ৯৬০ লিটার অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে সক্ষম এটি। এর মাধ্যমে আমাদের কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, পর্যায়ক্রমে জেলা হাসপাতালগুলোতেও অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হবে। ইতোমধ্যে ৩০টি এসেছে, আরও ৪০টি আসবে। এর ফলে আমরা লিকুইড অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাবো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। ভারতও বাংলাদেশ পরিবারের মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ