ঢাকা: দেশের মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নন-রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর বিদেশে যেতে হবে না। সুপার স্পেশালিটি সম্পন্ন হাসপাতাল এখানেই গড়ে তোলা হবে। যারা চিকিৎসা নিতে বাইরে যান, তারা এখন এখানেই উন্নত চিকিৎসা পাবেন।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতায় বিজীয়দের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সময় সব যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তখন আমরা কোথায় চিকিৎসা নিয়েছি? সবাই এখানেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি। কাজেই আমাদের যথেষ্ট ভালো হাসপাতাল আছে। যথেষ্ট ভালো ডাক্তার-নার্স আছে। সব ধরনের যন্ত্রপাতি আছে। আমাদের সব আছে, শুধু আস্থা নেই। একটু কিছু হলেই বাইরে যাই। আমাদের ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আস্থার অভাবেই বাইরে যায়।
স্বাস্থ্যবিধি মানায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সংক্রামক ব্যধি প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো মাস্ক। এটা পড়লে সব ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারব- এই বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমাদের কাছে প্রচুর ভ্যাকসিন আছে। বর্তমানে সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিন মজুদ আছে। ইতোমধ্যে সাত কোটি প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছি এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রায় সাড়ে সাড় কোটির মতো রয়েছে। আমরা এখন বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছি।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন আক্রান্ত তিনজন হাসপাতালে আছেন। এর আগে তারা কোয়ারেন্টিনে ছিল। তাদের অবস্থা খারাপ হয়েছে সে কারণে না, জায়গা পরিবর্তন করতে তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তারা ভালো আছে, সুস্থ আছে, কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়নি।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, জাতি আপনাদের বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদেরও জাতির প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ নিজ পেশায় গিয়ে জাতির ঋণ শোধ করবেন। যেভাবে মহামারির সময় ডাক্তারসহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা জাতির সেবায় ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এসকেবি/এমএমজেড