ঢাকা: করোনা মহামারির নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে ১১ দফা বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বিধি-নিষেধ।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ নম্বর বাজারের আলু বিক্রেতা বলেন, অফিস আদালত খোলা রেখে এই বিধি-নিষেধ দেওয়ার মানেটা কি? শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের জন্যই কি বিধি-নিষেধ? আর যত কড়াকড়ি গণপরিবহনে। সবকিছু বন্ধ করে কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ দিলে সবাই মানতে বাধ্য হবে।
ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ এসেছেন ১১ নম্বর বাজারে বাজার করতে। পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক বাজার করছিলেন। তিনি বলেন, সারা সপ্তাহ ব্যস্ত থাকতে হয় বিভিন্ন কাজ নিয়ে। সপ্তাহে একটা দিন সময় পাই, সকালেই পরিবারের জন্য বাজার করতে বের হয়েছি। সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তার কোনো বাস্তবায়ন কোথাও দেখলাম না। ঠিক একই অবস্থা বাজারে। একজন, দু’জন বা আপনি-আমি মাস্ক পরলাম, বাকিরা পরছেন না। এতে করে কি সম্ভব সংক্রমণ ঠেকানো? কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিলেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
কালশী বাজারে তেল বিক্রেতা মো. রহিম বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা মহামারির ভীতি অনেকটা কমে গেছে। এই কারণেই মনে হয় সঠিকভাবে বিধি-নিষেধ মানতে চাইছে না মানুষ।
এর আগে, সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এমএমআই/এমআরএ