রাঙামাটি: রাঙামাটিতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
রাঙামাটি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, গত পাঁচদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের। অধিকাংশই শীতজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
সূত্রটি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। নতুন করে ৯২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাঙামাটি পিসিআর ল্যাবে ১১৭ জন এবং এন্টিজিনায় ৭৮ জন নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এরমধ্যে সর্বমোট ১৯৫ জনের মধ্যে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে সনাক্তের হার ৪৭.১৮ শতাংশ।
রাঙামাটিতে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৫৮ জন নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এরমধ্যে নেগেটিভ এসেছে ২৩ হাজার ৬৭৮ জনের। পজিটিভ এসেছে ৪ হাজার ৮৮০জনের। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৩৪ জন। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন- ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৫৬ জন এবং ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৩৮ জন। আইসোলেশনে ভর্তি আছেন দুইজন।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম। কেননা আমরা জেলার বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। এখন মুখে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
ডা. শওকত আরও বলেন, এখন যেহেতু শীতের মৌসুম তাই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মা ও শিশু রোগীর জন্য বেডের সংখ্যা ১০-১৫টি থাকলেও বর্তমানে গড়ে ৩০-৩৫টি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এনটি