ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা বেঁচে থাকে ওমিক্রন

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা বেঁচে থাকে ওমিক্রন

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে বিশ্বজুড়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

 

ওমিক্রন নিয়ে জাপানি বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, করোনার আগের ধরন ডেল্টার চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে ওমিক্রন। ভাইরাসটি প্লাস্টিকের ওপরে ৮ দিন এবং মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা বেঁচে থাকে।  

কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিনের এক দল গবেষক জানিয়েছেন, একাধিক পরীক্ষাগার পরীক্ষার পর দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের মূল স্ট্রেনের (উহান) চেয়ে অনেক বেশি সময় বেঁচে ছিল।

জাপানি গবেষকদের প্রতিবেদন বলছে, প্লাস্টিক ও মানুষের ত্বকের উপরিভাগে ওমিক্রনের সক্রিয়তার হার দ্বিগুণ। মানুষের ত্বকে ডেল্টা যেখানে ১৬ ঘণ্টা সক্রিয় থাকত, সেখানে ওমিক্রন থাকে প্রায় ১ দিন।  

প্লাস্টিকের ওপরে উহানে শনাক্ত হওয়া ধরন বেঁচে থাকার সময় ৫৬ ঘণ্টা, আলফা ধরণ ১৯১ দশমিক ৩ ঘণ্টা, বিটা ১৫৬ দশমিক ৬ ঘণ্টা, গামা এবং ডেল্টা ধরন গড়ে বেঁচে ছিল যথাক্রমে ৫৯ দশমিক ৩ ঘণ্টা এবং ১১৪ ঘণ্টা।

নতুন গবেষণায় দেখা যায়, ওমিক্রন ১৯৩ দশমিক ৫ ঘণ্টা বা আট দিন সক্রিয় থাকে। এমনকি ডেল্টার চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে ওমিক্রন। করোনার অন্য ধরনের তুলনায় পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতাও বেশি ওমিক্রনের।

মরদেহের ত্বকের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের উহানের ধরন গড়ে বেঁচে ছিল ৮ দশমিক ৬ ঘণ্টা, আলফা ১৯ দশমিক ৬ ঘণ্টা, বিটা ১৯ দশমিক ১ ঘণ্টা, গামা ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা ১৬ দশমিক ৮ ঘণ্টা এবং ওমিক্রন ২১ দশমিক ১ ঘণ্টা।  

স্যানিটাইজার ব্যবহারের গুরুত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে গবেষকরা জানান, করোনার নতুন ধরন অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংস্পর্শে এলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ত্বক থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় হয়। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা, হাত পরিষ্কার রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।