কুড়িগ্রাম: হিমালয় পাদদেশীয় জেলা কুড়িগ্রামে মাঘের মাঝামাঝি সময়ে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই শৈত প্রবাহ আরও দুই/তিনদিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলের পর থেকে শৈত্য প্রবাহের সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার পর দুপুরে আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাতে উষ্ণতা ছিল না। তার সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার প্রকোপে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন পরিস্থিতি আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন মিঞা বাংলানিউজকে জানান, চলতি শৈত্য প্রবাহ ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় কৃষির তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বাংলানিউজকে জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত এক কোটি ৮ লাখ টাকার কম্বল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল বিভিন্ন উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত আরও ৬ হাজার সোয়েটার ও ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এফইএস/কেএআর