ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রতিদিন গড়ে মারা যান ১৩ জন মা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
প্রতিদিন গড়ে মারা যান ১৩ জন মা নিরাপদ মাতৃত্ব

আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃমৃত্যু হার কমাতে আজ ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হচ্ছে। একাধিক গবেষণা তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর দেশে চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়।

সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ জন মারা যান।

দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।  
আর গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সরকার মিডওয়াইফ’র মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।  
জরুরি প্রসব সেবাসহ প্রসবকালীন জটিলতায় প্রয়োজনীয় সেবা চালু করেছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়নি।

দেশে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস)।  
তাদের তথ্যানুযায়ী, ৯০-এর দশকে প্রতি এক লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭৪ জন সন্তানসম্ভবা নারীর মৃত্যু হতো। যা কমে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে ৯০-এর দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।  
তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, সরকার মাতৃমৃত্যু হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।  

জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশলপত্র অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭ দশমিক এক শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।  

পাশাপাশি মাতৃমৃত্যুর হার এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের হার ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে শতভাগে উন্নীত করতে হবে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ সেই লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করেছে।  

এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসা, পর্যাপ্ত ডাক্তার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির এখনো অভাব রয়েছে।  

বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে মোট মাতৃমৃত্যুর ৭৩ শতাংশই ঘটে প্রসব-পরবর্তী সময়ে। যাদের ৫৬ ভাগই মারা যায় প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এসব মাতৃমৃত্যুর ৩১ শতাংশই ঘটে রক্তক্ষরণের কারণে। ২৪ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী খিঁচুনি বা একলাম্পশিয়া। এছাড়া ৩ শতাংশ মায়ের মৃত্যু ঘটে বাধাগ্রস্ত বা অবিরাম প্রসব ব্যথার কারণে। মোট মাতৃমৃত্যুর ৫৩ ভাগই ঘটে থাকে বাড়িতে প্রসবের কারণে।  
তাই বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিতে হবে।  

বাংলাদেশ  সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।