ঢাকা: নোয়াখালী সদর হাসপাতালের নতুন বর্ধিত ইনপেশেন্ট বিভাগ, একটি সংস্কারকৃত অপারেশন থিয়েটার ও ইমার্জেন্সি ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. অ্যালেন মাইনা যৌথভাবে এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় নোয়াখালী সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউএনএইচসিআর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই সংস্কার কাজে আর্থিক সহায়তা করেছে ইউএনএইচসিআর। এছাড়া তারা এই হাসপাতালকে ৪৬০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও দিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নোয়াখালী জেলার জনগণ এবং ভাসানচর থেকে মেডিক্যাল রেফারেলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এই নতুন সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন।
হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও নোয়াখালী সদর হাসপাতাল স্থানীয় বাংলাদেশি ও শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। হাসপাতালের জন্য ইউএনএইচসিআরের এই চমৎকার ও নির্ভরযোগ্য সহায়তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. অ্যালেন মাইনা বলেন, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিসেবার উন্নতি ও বৃদ্ধির কাজে বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের সহযোগী সংস্থাগুলো, দাতা ও বাংলাদেশের বিবিধ কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিসেবা বাড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থাগুলো কক্সবাজারের নয়াপাড়ায় প্রথম মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ইনপেশেন্ট ইউনিট প্রতিষ্ঠা ও উদ্বোধন করেছে। শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত হলেও কক্সবাজারের এই ইউনিটটি শরণার্থী ও বাংলাদেশি উভয়ের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
টিআর/এমএমজেড