ঢাকা: বেসরকারি হাসপাতালের ক্যাটাগরি এবং সেবার মান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের আমরা বলেছি তাদের সেবার মান উন্নত করতে হবে। সেবার মান উন্নয়নে আমরা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরি করে দেব। সেই ক্যাটাগরি নির্ভর করবে তাদের হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, বেডের সংখা, জনবল এবং যন্ত্রপাতির সংখ্যার কেমন আছে তার উপর। যারা যেই ক্যাটাগরিতে থাকবে, তারা শুধু সেই ক্যাটাগরির স্বাস্থ্য সেবাই দিতে পারবে, অন্য কোনো সেবা তারা দিতে পারবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল সিজার করে, কিন্তু সিজার করার মত যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সেই হাসপাতালে নেই। এমন হাসপাতালে সিজার করতে দেওয়া হবে না। হার্টের অপারেশনে যে ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থাপনা যে হাসপাতালে নেই, তাদের হার্টের কোনো অপারেশন করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের ফি রয়েছে, কোনো হাসপাতালে দেখা যায় একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার টাকা, আবার অন্য একটি হাসপাতালে সেই একই পরীক্ষার জন্য ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এ যে বিরাট একটা বৈষম্য আমরা সেটা দূর করতে চাচ্ছি। যেন জনগণ প্রতারিত না হয়। দেশের দরিদ্র জনগণ যেন কষ্ট না পায়, সঠিক চিকিৎসা পায় এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য যেন সঠিক মূল্যটা তারা দেয়, বাড়তি মূল্য যেন দিতে না হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া লোকের সংখ্যা কমে যাবে। এখনো অনেক লোক বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ফলে আমাদের কষ্টার্জিত কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে যায়। আমরা যদি আমাদের চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত করতে পারি তাহলে দেশের জনগণ চিকিৎসা নিতে বাইরে যাবে না এবং এ টাকাটা দেশেই থাকবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দেব, সেবার বিনিময়ে ফি নির্ধারণ করে দেব। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ কাজটা আমরা করতে পারব। সব হাসপাতাল একই মানের না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
আরকেআর/জেডএ