ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু: নিরাপত্তাকর্মী-রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু: নিরাপত্তাকর্মী-রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ

সিলেট: ভুল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর জেরে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে রোগীর স্বজনদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দিলাল নামে রোগীর এক স্বজনের হাত ভেঙে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

বুধবার (০২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পাঁচজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে সিলেট সদর উপজেলার মীরেরগাওয়ের নাফিসা বেগম নামে ১০ বছরের এক শিশুকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

নিহত নাফিসার মামা আবুল খায়ের অভিযোগ করেন, সপ্তাহ খানেক আগে নাফিসার পায়ে লোহা ঢুকেছিল। ক্ষতস্থানে সম্প্রতি পুঁজ দেখা যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বুধবার দুপুরে নাফিসার পায়ে চেতনাশক ইনজেকশন দিয়ে পুঁজ বের করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই নাফিসার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ভুল চিকিৎসায় নাফিসার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে আবুল খায়ের বলেন, চিকিৎসকরা নাফিসার পায়ে ভুল ইনজেকশন পুশ করেছেন। এজন্য সুস্থ একটা মেয়ে হঠাৎ করেই মারা গেছে।

আবুল খায়েরের বন্ধু যুবরাজ দাস বলেন, নাফিসার এমন মৃত্যুতে তার ক্ষুব্ধ স্বজনরা সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাতে আমরা হাসপাতালে যাই। ওই সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের ১০ জন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

তবে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করে রাগীব রাবেয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আওলাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিশুকে সঠিক চিকিৎসাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুপুরে খাবারের পর তার শারীরিক অবস্থা হঠাৎ অবনতি হয়ে সে মারা যায়। তার খাবারে কোনো সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।

রোগীর স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে আওলাদ বলেন, রোগী মৃত্যুর পর স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালালে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এতে তাদের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীও আহত হয়েছেন।  

এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।