মেষ: মেষরাশির জাতক সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত হয়। লক্ষ্য নির্ধারিত থাকে।
এই রাশির পুরুষদের চরিত্রের প্রধান দিক হলো কর্মতত্পরতা ও উদ্যম। এরা কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে পছন্দ করে না। লক্ষ্য নির্ধারিত হলে কে কী ভাবলো তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। দ্রুত প্রাপ্তিতেই এদের আনন্দ। জরুরি অবস্থায় এদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার জুড়ি নেই। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। বাধা-নিষেধ সহজে মানতে চায় না। কিন্তু ভালোবাসা ও সুন্দর ব্যবহারের কাছে সহজেই দুর্বল হয়ে যায়। আবার অপরকে সাহায্য করার ব্যাপারেও আপনার জুড়ি নেই।
বৃষ: বৃষরাশির জাতক সাধারণত ধৈর্যশীল ও বিশ্বাসী হয়। তারা রেগে গেলেও আবার খুব তাড়াতাড়ি রাগ সামলে নিতে পারে। এরা অনেকটা জেদি ও অবুঝ হলেও আবার বেশ রোমান্টিক হয়। সত্য, সুন্দর ও প্রেম-এ তিনটি শব্দের প্রতি এদের সহজাত দুর্বলতা রয়েছে। এরা বৈষয়িক, বুদ্ধিমান ও দায়িত্বসচেতন। আড্ডা ও আপ্যায়নপ্রিয়। মানুষের দুঃখ দেখে এরা দুঃখ পান। সাধ্যানুসারে মানুষের উপকার করেন। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও সচেতন। এই জায়গায় আঘাত এলে এরা রেগে যায় এবং কখনও কখনও নির্দয়ও হয়ে যান। ফুল, বাগান, সংগীত ও প্রকৃতির প্রতি এদের সহজাত টান আছে। মনের দিক থেকে এরা সৎ, বিশ্বস্ত ও রক্ষণশীল। নিরাপত্তাবোধ এদের সব সময় বিচলিত করে। কাউকে পছন্দ করলে, ভালোবাসলে তার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হয়। কাউকে অপছন্দ করলে সহজেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরা আপমানের কথা সহজে ভুলতে বা ক্ষমা করতে পারে না।
মিথুন: মিথুনরাশির জাতক সাধারণত পরিবর্তন ও সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তারা অনেকটা বহির্মুখী। কিন্তু সবসময় নির্দিষ্ট লক্ষ্যের পথে চলে। এরা দ্বৈতসত্তার অধিকারী। কখনও আবেগপ্রবণ আবার কখনও বাস্তববাদী। এদের ব্যবহার ও চালচলনে একটা আকর্ষণ রয়েছে। এরা সাধারণত চতুর ও বুদ্ধিদীপ্ত। এরা সহজে রেগে যায় আবার সহজেই সবকিছু ভুলে যায়। এরা সব অবস্থাতেই নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন। বুদ্ধিবৃত্তিক যে কোনো বিষয়েই এদের আকর্ষণ প্রবল। তবে সাধারণ ভাবে কোনো কিছুর খুব গভীরে যেতে আপনি পছন্দ করেন না।
এই রাশির জাতকরা একসঙ্গে অনেক কিছু করতে চায়। এতে দেখা যায় কোনো কিছুই পূর্ণতা পায় না। একটা অস্থির মন এদের তাড়া করে বেড়ায়। একাগ্রতার অভাব রয়েছে এদের মধ্যে। এরা সহজে কোনো কিছু শিখতে পারেন। একসঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে সুন্দর আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। কর্মেই এদের আনন্দ। সব সময় পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের প্রত্যাশী। জীবনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য এর যে কোনো কিছু করতে পছন্দ প্রস্তুত। এরা উচ্চাভিলাষী। উন্নতির জন্য এরা কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতে দ্বিধা করেন না।
কর্কট: কর্কটরাশির জাতক সাধারণত শান্ত ও শান্তিপ্রিয়। মানুষের প্রকৃতি খুব সহজেই বুঝতে পারে। অনেকটা ধৈর্যশীল ও আবেগপ্রবণ। তবে তারা নিজেদের আবেগ আড়াল করতেও সক্ষম। সব রাশির মানুষের মধ্যে তুলনামূলকভাবে এরা বেশি মেজাজী, সংবেদনশীল ও ধৈর্যশীল। এরা অত্যন্ত চাপা স্বভাবের। হৃদয়াবেগ ও অনুভূতির যথাযথ বাঙ্ময় প্রকাশ ঘটাতে এরা প্রায়শই ব্যর্থ হন। তাই প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন এদের ভুল বোঝে। এরা মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে সহজেই আপ্লুত হন। এরা দয়ালু। অনেকেই এদের এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। চন্দ্রের প্রভাবে এদের মধ্যে একটা অস্থিরতা ও বৈচিত্র্যপ্রিয়তা কাজ করে। ভ্রমণ ও বিদেশের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। এদের জীবনে একাধিক বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসে। যাদের এরা ভালোবাসেন তাদের দ্বারা আপনি সহজেই প্রতারিত হন। কিন্তু এরা যদি মনে করে সুন্দর মনের ছদ্মবেশে স্বার্থ ও ছলনা লুকিয়ে আছে, এরা সহজেই নীরবে দূরে সরে দাঁড়ান।
ঘর-সংসারের প্রতি ভালোবাসা এদের চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ঘরের শান্তি, সংসারের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা একান্তভাবে কামনা করেন। আপনি সহজাতভাবে সামাজিক। কিন্তু একটা রক্ষণশীল মন এদের ঘিরে রাখে, নিজের মতো করে সবকিছু দেখতে চায়, পেতে চায়, অন্যদিকে নতুন কিছুর প্রতি এদের আগ্রহও আছে। এদের অদ্ভুত প্রজ্ঞা ও ইন্দ্রিয় শক্তি রয়েছে। যা দিয়ে এরা অন্যদের অভিসন্ধি বা মন-মানসিকতা বুঝতে পারেন। এরা সৃজনশীল ও উচ্চাভিলাষী। সুন্দরের প্রতি আপনার সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। এরা ধার্মিক, সাহিত্য-সংগীত পছন্দ করেন। জীবনের রহস্যময়তা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি এদের দুর্বলতা রয়েছে।
সিংহ: সিংহরাশির জাতক সাধারণত হৃদয়বান হন। সব সময় ন্যায় ও নীতির পথে চলেন। তারা সৎ চরিত্রের মানুষ হয় ও তাদের ভিতর নেতৃত্ব গুণাবলী লক্ষ্য করা যায়। এদের ব্যক্তিত্বে আভিজাত্য, কর্তৃত্ব ও প্রেমের এমন এক সুন্দর সমন্বয় রয়েছে, যা সহজেই অন্যদের আকর্ষণ করে। এরা প্রাণবন্ত ও সদা হাস্যোজ্জ্বল। স্বভাব সবসময়ই সর্বজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ধরে রাখে। এরা মনে-প্রাণে এ অবস্থানকে পছন্দ করে। এরা উদার ও সহানুভূতিশীল। অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসে। এজন্য এদের জীবনে ভালোবাসা ও বন্ধুর অভাব হবে না। এরা আনন্দ-ফূর্তি ও খেলাধুলা পছন্দ করেন। জীবনকে সুন্দরভাবে ভোগ করতে চান।
এরা সৃজনশীল ও সাংগঠনিক। নেতৃত্বের স্পৃহা এদের রক্তে মিশে আছে। সহজেই এরা মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। আত্মমর্যাদাবোধের ব্যাপারে এরা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এদের মর্যাদাবোধে কেউ আঘাত করলে এরা সহজে ভুলতে পারেন না। এদের রাগী স্বভাব কখনও কখনও সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে এদের রাগ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এরা মানুষকে সহজেই ক্ষমা করতে পারেন। সুন্দরের প্রতি এদের সহজাত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিলাস ও সৌখিনতা এরা পছন্দ করেন। এদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও চালচলনে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
কন্যা: কন্যারাশির জাতক সাধারণত চাপা স্বভাবের। প্রতিটি ছোট ছোট ব্যাপারেই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে ও কোনো কাজে ঝুঁকি নিতে চান না। এরা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হওয়ার ফলে যে কোনো কাজ ভালোভাবে সংগঠিত করতে পারে। এরা বাস্তববাদী, বুদ্ধিদীপ্ত ও পরিশ্রমী। আবেগ-অনুভূতিকে এরা মস্তিষ্ক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এর জন্য এদের আচরণে একটা শীতলতা লক্ষ্য করা যায়। মনের দিক থেকে এরা নিখুঁত সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। সাধারণত এদের স্মরণশক্তি প্রখর, অতীতের অনেক ঘটনা অনায়াসে বলে দিতে পারেন।
নস্টালজিক স্বভাব রয়েছে এদের। এরা জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা মনে রাখতে পছন্দ করেন। এদের বেশিরভাগই কঠিন সমালোচক ও স্পষ্টবাদী। সাধারণত এতে ঈর্ষা থাকে না। তবু এর কারণে এরা অন্যদের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। অনেক সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। যেকোনো আবেগ বা ইন্দ্রিয়ের ব্যাপারে এরা অত্যন্ত চাপা। সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও এদের স্বার্থপর মনে হতে পারে। প্রেমের ব্যাপারে এদের নিস্তরঙ্গ এবং ঠাণ্ডা স্বভাব প্রেমের পথে অন্তরায়। এরা দ্রুত যেকোনো জিনিস লিখতে পারেন। এরা বুদ্ধিবৃত্তিক সব ব্যাপারে আগ্রহী এবং সংস্কৃতিবান ব্যক্তিদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে চান। এরা বেশ চালাক ও সতর্ক। এদের সাহিত্য ও শিল্প সংস্কৃতির প্রতি জন্মগত আগ্রহ রয়েছে। এরা সাধারণত বিনয়ী ও বিশ্বস্ত। জীবনে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসে। নিজের বাড়ি না হলে এরা ঘন ঘন বাড়ি বদল করতে পছন্দ করেন। চাকরির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না। বন্ধু হিসেবে এরা বেশ বিশ্বস্ত।
তুলা: তুলারাশির জাতক সাধারণত চিন্তাশীল মানুষ। তারা পুরো পৃথিবীটাকেই নিজের পরিবার মনে করেন। আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাসী। এরা নিজের আবেগকে মানুষের মধ্যে সহজে প্রকাশ করে না। তুলা জাতকরা রুক্ষ হতে ঘৃণাবোধ করে। এটা এই রাশির জাতকের চরিত্রের একটি বিশেষ দিক। তুলারা মানুষ ভালোবাসেন। কিন্তু অনেক মানুষের ভিড় তাদের অপছন্দ। শান্তির পায়রাদের মতোই সুশীলভাবে তারা অন্যদের ঝগড়া-বিবাদে মধ্যস্থতা এবং মীমাংসার জন্যে এরা এগিয়ে যায়। কিন্তু সঠিক বিতর্ক করা থেকে পিছপা হয় না। এরা সুশীল ও এদের সঙ্গ আনন্দদায়ক। কিন্তু মাঝে-মধ্যে তারা চূড়ান্ত গম্ভীর হয়ে উঠতে পারে। এরা আদেশ মানতে চরম অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে। তুলা জাতকেরা খুবই বুদ্ধিমান। একই সঙ্গে তারা চরমভাবে সরল।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিকরাশির জাতক সাধারণত বুদ্ধিমান ও স্থির প্রকৃতির হয়। এদের জীবন অনেক নাটকীয় ও ঘটনায় ভরা। শাস্ত্র মতে, মনে করা হয় এদের জন্ম হয় জয় করা বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। তাদের স্বরের কতগুলি বৈশিষ্ট্য থাকে বলে শাস্ত্রে বর্ণনা আছে। এটা মসৃণ, কিছুটা ভাঙা কখনও তীব্রভাবে কষ্টদায়ক। তাদের বক্তব্য হবে মাপা, কিংবা কাট-ছাট করা এবং ভাঙা ভাঙা বাক্য দিয়ে গঠিত। কিন্তু তার বক্তব্য কখনই নিজেকে গোপন করার বা গূঢ় বিষয়টিকে রাখ-ঢাক করবে না।
বৃশ্চিকের মধ্যে রয়েছে পরিপূর্ণ আত্মগরিমা। তিনি জানেন তিনি কেমন। এছাড়া তিনি জানেন তিনি কেমন নয় এবং কি পারেন না। আর আশেপাশের মানুষ কে কী বললো তাতে নিজের মত থেকে একচুল বিচ্যুত হওয়া বৃশ্চিক রাশির পুরুষদের কর্ম নয়। কারো প্রশংসা বা সমালোচনা কোনোটাই বৃশ্চিক পুরুষদের খুব একটা চিন্তিত করে না। মানুষ চেনার একটা সহজাত ক্ষমতা এই রাশির জাতকদের থাকে।
ধনু: ধনুরাশির জাতকরা সাধারণত পছন্দ করেন নতুন কিছু করতে ও ঝুঁকি নিতে। তারা অনেক প্রাণবন্ত ও বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান। দার্শনিক প্রকৃতির হন। তাদের আকর্ষণের মূল হেতুটা হয়তো তাদের গতানুগতিক আচরণ। জীবনযাপনের বিরুদ্ধে তার অশ্রদ্ধা ও স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস। এরা সমাজের সাধারণ নীতির বিপ্রতীপে চলতে ভয় পায় না। কোনো পরাজয়ের পর নতুন লড়াই শুরু করতে এরা সিদ্ধহস্ত। সাধারণত এদের চেহারায় একটা সুপুরুষ ভাব থাকে। এ ব্যাপারে এরা সচেতনও। এই রাশির পুরুষরা সাধারণত জীবন যুদ্ধকে উপভোগ করেন। এরা ব্যবসা করতে উৎসাহী থাকে। শিল্পেও এদের আগ্রহ। খেলাধুলাতেও ধনুরাশির পুরুষরা উৎসাহী হন।
মকর: মকররাশির জাতক সাধারণত কঠোর পরিশ্রমী হন। এরা ধীর চিন্তক। কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে অনেক বেশি সময় নেন। এরা নিজের স্বার্থের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। প্রয়োজন পড়লে কোনো কাজ সম্পাদন করতে কৌশলের আশ্রয়ও নেন। মকর জাতকরা খুব ভদ্রভাবে কোনো একটা দলে নিজেদের অবস্থান করে নেন।
এরা নিজের অজান্তেই পেছনের সারিতে নিজেকে ঢেকে ফেলেন। এর ফলে এই রাশির পুরুষদের ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য দেখে চিনে ফেলাটা একটু কঠিন। পুরুষালী ভাব এদের মধ্যে প্রবল। কিন্তু তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য যাই হোক না কেন, তিনি যেখানে থাকবেন সেখানে থিতু হয়ে থাকার মতো একটা লক্ষণ এদের মধ্যে দেখতে পাবেন। এরা কাজে মনোযোগী। এবং খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পরিবর্তন করেন না।
কুম্ভ: কুম্ভরাশির জাতক সাধারণত বিশ্বাসী হন। সত্যের পথে আস্থাশীল। এদের ভিতর অনেকটা বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিকের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এরা ঈশ্বরে আস্থাশীল। এদের একাগ্রতা ও বিশ্বাস প্রবল হয়। এদের নিষ্ঠা এদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে। এরা কিছুটা আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয়। মানুষের প্রিয় হলেও অন্তরঙ্গ বন্ধু খুব কম থাকে। জনসমাগমের মধ্যে থাকলেও নিজেকে অনেক সময়ই নিঃসঙ্গ বলেই এরা মনে করে।
অত্যন্ত আরামপ্রিয় ও ভাবপ্রবণতার জন্য সাফল্যে বাধা আসে। স্পষ্ট কথা বলার জন্য এই রাশির পুরুষদের জীবনে কিছু কিছু ক্ষতি হয়। কল্পনা ও আশা একসঙ্গে জাতকের মনে স্থান পায়। সামাজিকতার ব্যাপারে একটু আলস্য এদের মধ্যে দেখা যায়। ভাবপ্রবণতাকে খুব বেশি প্রশ্রয় দিলে জাতকের জীবন হতাশায় ভরে উঠতে পারে।
মীন: মীনরাশির জাতক সাধারণত বন্ধুসুলভ হন। এরা খুব সহজেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন। যে কোনো বিষয়ে এরা যত্নবান। এরা যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম। একটা স্থানে অনেক সময় ধরে বসে থাকার বাধ্য-বাধকতা অধিকাংশ মীন রাশির পুরুষ একদম সইতে পারে না। স্রোতময় জীবনের গতিতে মীন রাশির পুরুষকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জীবনের সেই স্রোত কোনোভাবে রুদ্ধ হলে এরা অস্থির হয়ে ওঠে।
শৈল্পিক ও সৃষ্টিশীল পরিবেশ এবং বৌদ্ধিক আলোচনায় এদের বিশেষ উৎসাহ থাকে। জীবনকে খুব সহজভাবে দেখা এদের চরিত্র। এরা সাধারণত অর্থ আর বুদ্ধির মধ্যে বুদ্ধিকে বেছে নেবে। অধিকাংশের মধ্যেই পদ, ক্ষমতা, নেতৃত্ব বা ধন-সম্পদের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায় না। এদের বন্ধু সীমিত। কিন্তু যাদের সঙ্গে এরা বন্ধুত্ব করে সেটিকে তারা আজীবন বয়ে নিয়ে যায়।
সিদ্ধান্ত নিন কন্যারাশি ধীরে: মনের মানুষের বিশেষ বার্তা বৃশ্চিকরাশির
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪