কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেসামাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। একের পর এক নেতা মন্ত্রী জেল হাজতে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) আদালতে নিজের এজলাসেই মামলা চলাকালীন এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তার প্রশ্ন, ওনারা তো অনেক বিষয়েই নানান মন্তব্য করে থাকেন এবং অনেক সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত জানান। আমার কৌতূহল, বাংলার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এ নোবেলজয়ীদের কী পর্যবেক্ষণ? বিচারপতি চাকরিপ্রত্যাশিদের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ঠিক ধরেছেন আমি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলতে চাইছি।
গত ১৪ জানুয়ারি অমর্ত্য সেন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি প্রশ্ন অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিচারপতির ইঙ্গিত সে দিকেই। অন্যদিকে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এক সময় পশ্চিমবঙ্গের কোভিড সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন। মমতাই তাকে ওই কমিটিতে রেখেছিলেন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তারও মতামত জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন বিচারপতির এজলাসে মমলা চলাকালীন চাকরিপ্রত্যাশিদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন বিচারপতি বলেন, স্কুলে নিয়োগে এতো বড় দুর্নীতি হলো। এ বিষয়ে নোবেলজয়ীরা কী বলেছেন? অমর্ত্য সেন রয়েছেন, তিনি প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে কি কাজ করছেন। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন আর এক কমিটির উপদেষ্টা। আমার জানতে ইচ্ছে করছে ওনা এ বিষয়ে কী বলছেন? এসব মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের ব্যাপারে তাদের পর্যবেক্ষণ কী?
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বহু মামলা এখনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচারাধীন। সেসব মামলায় তার দেওয়া নির্দেশ এবং একাধিক মন্তব্য বারবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। এবার বাংলার নোবেলজয়ীদের প্রশ্ন করায় শাসকদের বিরুদ্ধে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল বলেই, অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ভিএস/আরআইএস