ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বাংলার ইফতারিতে ভারতের ভিন রাজ্যের আম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
বাংলার ইফতারিতে ভারতের ভিন রাজ্যের আম

কলকাতা: ‘আম পাকে বৈশাখে, কুল পাকে ফাগুনে / কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে। ’ না, বৈশাখ মাস আসতে এখনো প্রায় একপক্ষ কাল বাকি।

তবে, এরই মধ্যে কলকাতা শহরজুড়ে আম এসে গেছে। পবিত্র রমজান মাসে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, দুই-এক ধরনের আম রয়েছে ফল বিক্রেতাদের পসারিতে।

বাঙালি সব সময় আম প্রিয়। তা সে বাংলার মালদার ফজলি আম হোক কিংবা মুর্শিদাবাদের বেগম খাস, গোলাপখাস, কহিতুর আম। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের প্রিয় আমের তালিকায় রয়েছে হিমসাগর, চৌসা, দশেরা, ল্যাংড়া ও আলফানসো। এগুলো বাজারে আসতে দেরি হয়। কিন্তু, ইতোমধ্যে কলকাতাজুড়ে মিলছে আম। আর যেটা মিলছে, তা হলো দক্ষিণ ভারতের আম।

তাতে বাংলার আমের সাধ না পাওয়া গেলেও আপাতত দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ের আম প্রায়ই থাকছে ইফতারের পাতে। কলকাতা পার্ক সার্কাস মার্কেটে ইফতারের জন্য অন্যান্য ফলের সঙ্গে পরিবারের জন্য আম কিনেছেন রাকিব। বর্তমান সময়ে যে আম মিলছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, মৌসুমি ফল হিসেবে আম কিনছেন। এসব আম পাকা হলেও খুব যে মিষ্টি তা নয়, আবার খুব টক তাও নয়। তবুও আমের গুণাগুণ ভেবে ইফতারিতে জায়গা করে নিয়েছে চেন্নাইয়ের আম।



ভারতের নিরিখে সুস্বাদু আমের জন্য প্রসিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তারমধ্যে সেরা আম মেলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। যদিও বর্তমানে বাংলার বাঁকুড়া জেলাতেও বিশেষ আমের চাষ হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবছর উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়াতেও প্রচুর পরিমাণে আম উৎপন্ন হয়।

রমজান মাস চলছে। তাই অনেকেই ইফতারিতে মৌসুমি ফল হিসেবে আম বেছে নিচ্ছেন। কলকাতার রিপন স্ট্রিটের স্থানীয় ফলের বাজার থেকে ইফতারির জন্য ফল কিনতে এসেছেন আবদুর। পেঁপে, আনারস, তরমুজসহ প্রয়োজন অনুযায়ী কাটা ফল কিনেছেন তিনি। আবদুর জানান, বাসায় তিনজন এবং বাড়ির সামনে বাজার তাই প্রতিদিনই ইফতারির জন্য টাটকা ফল কেনেন। বাজারে আম এসেছে। জানি এ আমের স্বাদ হবে না। তবুও মৌসুমি ফল হিসেবে কিনলাম।

ফল বিক্রেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের আম এখনো বাজারে আসতে প্রায় আড়াই মাস বাকি। কিন্তু, কলকাতার অলিতে গলিতে মিলছে বেশ কয়েক রকমের আম। কলকাতার সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলের বাজার মেছুয়া। সেখানে দক্ষিণ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে বেশ কয়েক রকমের আম। যদিও সেই আমের বাজার দর আমআদমির নাগালের বাইরে।

চেন্নাইয়ের গোলাপ খাস আম বিক্রি হচ্ছে ২০০ রুপি কেজি দরে। এছাড়া, পিএম নামের এক ধরনের আম পাওয়া যাচ্ছে সেটি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ রুপি। যদিও এই সমস্ত আম স্বাদে-গন্ধে বাংলার আমের ধারেকাছে নয়। তবুও সে সব আম বড়বাজার হয়ে কলকাতার পাশাপাশি ছড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলাতেও। আর পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইফতারের পাতে দেখা মিলছে সেসব আমের ফালি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।