ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

তৃতীয়বারের মতো গ্রিন জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলানিউজের সুদীপ নাথ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
তৃতীয়বারের মতো গ্রিন জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলানিউজের সুদীপ নাথ

আগরতলা (ত্রিপুরা): তৃতীয়বারের মতো ত্রিপুরা বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের ২০২৩ সালের গ্রিন জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলানিউজের আগরতলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সুদীপ চন্দ্র নাথ।

প্রতি বছরের ২২ মে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২২ মে) আগরতলার হাতিপাড়া এলাকার বন দপ্তরের প্রকৃতি ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের মুখ্যবনপাল (পিসিসিএফ) কে এস শেঠি, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. এ এম কানফাদে ও ত্রিপুরা বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের সদস্য সচিব প্রবীণ আগওয়াল প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত অতিথিরা ‘ত্রিপুরা রাজ্যের মাছ বৈচিত্র্য’ শীর্ষক একটি ই-বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া ‘ত্রিপুরার গাছপালা’ ও ‘ত্রিপুরার পাখি’ শীর্ষক দুটি পোস্টারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সাংবাদিক সুদীপ চন্দ্র নাথ ও সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য’র হাতে গ্রিন জার্নালিস্ট সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। পাশাপাশি বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত পোস্টার ও স্লোগান ইত্যাদির বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার বিজয়ী বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সভায় মুখ্য সচিব জে কে সিনহা বলেন, ত্রিপুরার জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যে ভরপুর। এগুলোকে রক্ষা করার জন্য বনদপ্তর অনেক কাজ করছে। এ কাজে দপ্তরের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম বড় ভূমিকা রাখে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তারা যেন আরও বেশি করে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত খবর তুলে ধরেন। এতে মানুষ পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বেশি সচেতন হয়। সেই সঙ্গে বনদপ্তরের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পার্ক গড়ে তুলতে হবে। এতে মানুষ বিনোদনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের এসিএফ অনিমা দাস।

এদিকে সভায় অতিথিরা প্রকৃতি ভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন ও আগরতলা সাইক্লো হলিক ফাউন্ডেশনের সদস্যদের হাতে একটি বাইসাইকেল তুলে দেন।

সভার দ্বিতীয় পর্বে বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন। এ পর্বে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কৃপাময় চক্রবর্তী মিলেট মৌসুমী ফলে উপকারিতা এবং ঔষুধি গুণ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করেন। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সামাজিক স্তরে জীববৈচিত্র্য রক্ষা বিষয়ক আরেকটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।  

সভায় আরও অংশ নেন বনদপ্তরের কর্মী ও একাধিক স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।