ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পিকে হালদারদের আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
পিকে হালদারদের আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু

কলকাতা: ভারতে বন্দী পিকে (প্রশান্ত কুমার) হালদারদের বিরুদ্ধে সোমবার(১৬ জানুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু করল কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। ফলের অভিযুক্তর বদলে এদিন থেকে আসামিতে রূপান্তরিত হল প্রশান্ত কুমারসহ তার পাঁচ সহযোগী।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

মূলত, ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর তদন্তে উঠে আসা এক হাজার পাতায় কপিতে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা হালদারদের প্রত্যেককে পড়ে শোনানো হয়েছে। সেসব শোনার পর তারা আদালতে জানিয়েছে তারা নির্দোশ। সেইজন্যই তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। যদি তারা দোষ স্বীকার করে নিত তাহলে এদিনই বিচারক সাজা ঘোষণা করে দিতেন। যেহেতু তারা স্বীকার করেনি ফলে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া চলবে।

এদিন আদালতে হালদারদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম(তদন্তে উঠে আসা অভিযোগ) গঠন করেছে ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী। তাদের বিরুদ্ধ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ এর আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই ভাবে অরিজিত জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে মামলার যে রায় দেওয়া হয়েছে তাও এদিন বিচারককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের চার্জ ফ্রেমেও তা সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের আর এক সহযোগী পৃথ্বীশ কুমার হালদার কানাডাতে রয়েছেন। ইডি তাকে আনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে বিচারককে জানায় অরিজিত। ফলে সব মিলিয়ে সোমবার থেকে পিকে হালদারদের বিরুদ্ধে বিচার প্রকিয়া শুরু করল ভারতের আদালত।

এখন দেখার বিষয় ভারতে মামলাটি কতদিনে নিষ্পত্তি ঘটে। ইতিমধ্যে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে, প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং পিকে হালদার ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ১৪মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে সেখানেই বন্দী রয়েছেন হালদাররা। তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে পিকে হালদার ও ৫ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।