ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

ভক্তি আর শ্রদ্ধায় ত্রিপুরায় সরস্বতী পূজা উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
ভক্তি আর শ্রদ্ধায় ত্রিপুরায় সরস্বতী পূজা উদযাপন

আগরতলা (ত্রিপুরা): বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে ৩০ মাঘ ১৪২৩ বাংলা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে এদিন মাঘই শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথি।

এ তিথিতে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করে থাকে। শাস্ত্রমতে দেবী সরস্বতী বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই স্কুল কলেজ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালতে এ পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

বিদ্যা বুদ্ধিতে সমৃদ্ধির প্রার্থনায় ব্রতী হন এর সঙ্গে যুক্ত সবাই। সারা ভারত এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন বিদ্যা দেবীর পূজা আয়োজন করা হয়।

অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদিন রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যব্যাপী সরস্বতী বন্দনায় ব্রতী হয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিদ্যা চর্চার সঙ্গে জড়িত সবাই। রাজধানীর প্রতিটি স্কুল-কলেজে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্কুলে বিশাল আকারের প্যান্ডেল তৈরি করে পূজা করা হয়। এদিন সকাল থেকে পূজাকে কেন্দ্র করে স্কুল-কলেজগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। সারা বছর ধরে মেয়েরা জিন্স টপ কুর্তিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে সরস্বতী পূজার দিন ছোট মেয়ে থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সব মেয়েরাই শাড়ি পরে প্যান্ডেলে আসেন। যুগ যুগ ধরে এ প্রথা চলে এসেছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়নি রাজধানীর আগরতলার স্কুল কলেজ গুলোতে।

পূজার শেষ লগ্নে সকালে অঞ্জলি প্রদান করে দেবীর সামনে বিদ্যাবুদ্ধিতে সমৃদ্ধি দেওয়ার প্রার্থনা করেন। সবশেষে প্রসাদ খেয়ে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূজা প্রাঙ্গণ ছেড়ে বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে দলবেঁধে অন্যান্য পূজা আয়োজকদের প্যান্ডেলসহ পার্কে ঘুরে বেড়ানোর রীতি এখনো বর্তমান। তাই এদিনটিকে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে বলা হয়ে থাকে। ফলে দিনটির জন্য ছেলেমেয়েরা বছর ভর অপেক্ষায় থাকেন। এবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা হওয়ায় ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আরও বেশি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। নবপ্রজন্ম সরস্বতী পূজা এবং ভ্যালেন্টাইনস ডের উন্মাদনায় ভাসে আর তাদের দেখে প্রবীণরা পুরাতন স্মৃতি রোমন্থন করে নস্টালজিকতায় ভাসেন, এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।