ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

ত্রিপুরায় অর্থবছরের বাজেট পেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
ত্রিপুরায় অর্থবছরের বাজেট পেশ

আগরতলা (ত্রিপুরা): শুক্রবার (১ মার্চ ) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করেছেন ত্রিপুরা সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।
 
এ অর্থবছরে বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৮০৪ দশমিক ৬৭ কোটি রুপি।

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উৎস থেকে আয় হবে ২৭ হাজার ৩৯৩ দশমিক ৯৮ কোটি রুপি। বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৪১০ দশমিক ৬৯ কোটি রুপি।

এবছরের বাজেটে শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবহন খাতে উন্নয়নের জন্য আর্থিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট পেশের বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ জানান, আগরতলার অরুন্ধতীনগরস্থিত রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে একটি ‘শাক-সবজির অবশিষ্টাংশ পরীক্ষাগার’ এবং ‘জার্ম প্লাজম সংরক্ষণ কেন্দ্র’ ১০ কোটি রুপি ব্যয়ে স্থাপন করা হবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকায় আটটি নতুন ‘কৃষি উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র’ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া খোয়াই জেলার তৈদুতে ইন্দো-ডাচ প্রকল্পে ৯ দশমিক ১৭ কোটি রুপি ব্যয়ে লেবু জাতীয় ফলের ‘এক্সেলেন্স সেন্টার’ এবং লেম্বুছড়াতে ইন্দো-ইজরায়েল অ্যাকশন পরিকল্পনায় একটি ‘এক্সেলেন্স সেন্টার অন ফ্লাওয়ার্স’ ১০ কোটি রুপি ব্যয়ে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফল, সবজি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট মানের চারা ইত্যাদি সরবরাহ করা হবে। সেই সঙ্গে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উন্নয়নের জন্য অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮৩ দশমিক ৬৮ কোটি রুপি। সেই সঙ্গে ১৭ দশমিক ১৩ কোটি টাকা খরচ করে চারটি মৎস্য চাষ জ্ঞানকেন্দ্র এবং একটি মৎস্য বিদ্যা সচেতনতা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। রাজ্যের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ১২৩ দশমিক ৭৮ কোটি রুপি খরচ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থবর্ষে আগরতলার এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতাল পরিসরে ২০০ শয্যা সম্বলিত মাল্টি কেয়ার স্বাস্থ্য ইউনিট নির্মাণ করা হবে ১৯২ কোটি রুপি ব্যয়ে পিএম-ডিভাইনের আওতায়। কাঞ্চনপুর ও অমরপুরে মহকুমা হাসপাতাল পরিসরগুলোতে স্টাফ কোয়ার্টার্স নির্মাণ করা হবে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপি ব্যয়ে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ত্রিপুরা নির্মাণ যোজনার’ আওতায়। সিপাহীজলাতে একটি এককৃত নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ৮৯ কোটি ৯০ লাখ রুপি ব্যয়ে পিএম-ডিভাইনের আওতায়।

খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অর্থবছরে স্মার্ট পিডিএস (স্কিম ফর মর্ডানাইজেশন অ্যান্ড রিফর্মস থ্রো টেকনোলজি ইন পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম) প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে স্মার্ট গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু করা হবে ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের সবকটি রেশনশপে সুবিধাভোগীদের অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্ন করে তোলার জন্য সিস্টেম ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্র ও আইরিস স্ক্যানার স্থাপন করার প্রস্তাব রাখেন মন্ত্রী।  

সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় অনুপ্রাণিত করার জন্য ভারত সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন স্কলারশিপের আওতায় সর্বমোট ২১ হাজার ৩৮৪ জন সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে সাত কোটি ৭০ লাখ রুপি দেওয়া হয়েছে। নারী শক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে ৪৮ হাজার ৯৬৯ জন সংখ্যালঘু ছাত্রীকে প্রিমেট্রিক ও পোস্টমেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে সর্বমোট দুই কোটি ২৬ লাখ রুপি খরচ করা হয়েছে।

অর্থবর্ষে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং এই উদ্দেশ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের’ আওতায় ৩৫ কোটি রুপি বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রথম দিনে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী সরকার ও বিরোধী পক্ষের বিধায়করা। এ সময়ের মধ্যে বাজেট নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা পর্যালোচনা করবেন এবং সব শেষে বাজেট পাস করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।