আগরতলা (ত্রিপুরা): মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ত্রিপুরার সাহিত্যিক ও সমাজসেবী শ্যামল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন।
সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. আল আমীন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
শোক বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়, কৃষক নেতা ও সমাজসেবক শ্যামল চৌধুরী ত্রিপুরার উদয়পুরের কৃষক ও যুবকদের সংগঠিত করেন। সে সময়ে বাংলদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহায়তা দেন। এ সময়ে তিনি জনসভার আয়োজন করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করেন। তিনি ভুক্তভোগী শরণার্থীদের কল্যাণে তহবিল সংগ্রহের জন্য তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে আসা রাজনৈতিক নেতাদেরও তিনি সহায়তা ও আশ্রয় দিয়েছিলেন।
সহকারী হাইকমিশনের বার্তায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার এই মহান অবদানের জন্য ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন। শ্যামল চৌধুরী আজন্ম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন এবং তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহকারী হাইকমিশন আগরতলা গভীর শোক প্রকাশ করছে।
শ্যামল চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব মো. আল আমীন এবং কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আগরতলায় তার বাড়িতে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
গত ২৪ মার্চ আগরতলার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী ও সাহিত্যিক শ্যামল চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ও বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
এসসিএন/এইচএ/