ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সচল হচ্ছে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
সচল হচ্ছে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর

কলকাতা: ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের যাতায়াত শুরু হয়েছে।  

দুই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।

একই ভাবে পণ্য পরিবহন সংস্থা এবং বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও বেশ খুশি।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরের মধ্যে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। গোটা দেশজুড়ে কারফিউ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ভারতীয় পণ্যবাহী গাড়ির ‘কার পাস’ ইস্যু করা যাচ্ছিল না। অবশেষে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের (২৫ জুলাই) তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশে গেছে ৩৭২টি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক। একই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে ৪৫ পণ্যবাহী ট্রাক। মূলত স্বাভাবিক অবস্থায় পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দৈনিক ৩০০-৩৫০ ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরে যায়। একই ভাবে বেনাপোল থেকে ১৫০ থেকে ২০০টি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আসে।

বৃহস্পতিবার রাতে ‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টেস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের’ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে এখন প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভারতীয় পার্টের গোডাউন থেকে এসব পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, অর্থাৎ ভারতীয় গোডাউনে যে পণ্য আটকে রয়েছে তা ক্লিয়ার হতে কমপক্ষে আরও পাঁচ-ছয়দিন সময় লাগবে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিয়ে সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আপাতত কিছুটা কম এলেও ধীরে ধীরে তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর করিডোর কার্যত দুদেশের স্থলবাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। দুদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩০ শতাংশই আমদানি-রপ্তানি হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। শুধু স্থল বাণিজ্যক্ষেত্রে নয়, দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এ বন্দর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর এ দুই বন্দরের সুসংহত চেকপোস্ট ধরে কমপক্ষে ২২ লাখ যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।