ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

রাজনীতিতে হাত পাকানোর পর প্রথম প্রার্থী হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজনীতিতে হাত পাকানোর পর প্রথম প্রার্থী হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

কলকাতা: রাজনীতিতে অভিষেক ঘটেছিল বহুদিন আগেই। তিনি দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক।

বহু নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের হয়ে দেখা গিয়েছিল তাকে। হয়ে যাওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভাই রাহুলের জন্যও ভোট প্রচারণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজে কোনোদিন প্রার্থী হননি। অবশেষে দলের চাপে কংগ্রেসের সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

লোকসভা উপনির্বাচনে ভারতের কেরল রাজ্যের ওয়েনাড় আসন থেকে বুধবার(২৩ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এসময় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছিলেন মা তথা কংগ্রেসের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, ভাই তথা ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের সাধারণ সম্পাদক বেনু গোপালসহ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতানেত্রী।  

আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড় আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। ভোটের আগেই একপ্রকার নিশ্চিত জয় তার ঝুলিতেই আসবে। সেক্ষত্রে বলা চলে, এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য হতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা।  

চলতি বছরের গত এপ্রিল-মে মাসে, সাত ধাপে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড় আসন এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই দুটি আসন থেকেই প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন রাহুল। সেক্ষেত্রে রায়বেরেলি আসনটি নিজের দখলে রেখে ওয়েনাড় আসন থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল। আসনটি সাংসদ শূন্য হয়ে যাওয়ার কারণে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। মুসলিম অধ্যুষিত ওয়েনাড় আসনে প্রিয়াঙ্কার প্রতিপক্ষ কেরলের বিজেপির নারী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক নভ্যা হরিদাস, সিনিয়র সিপিআই নেত্রী স্বাথ্যন মোকেরী। আগামী ২৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রের ভোট গণনা।  

এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে একটি 'রোড-শো'তে অংশ নেন প্রিয়াঙ্কা। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ 'রোড-শো'তে প্রিয়াঙ্কার সাথে অংশ নিয়েছিলেন তার পুত্র রায়হান ভদরা, স্বামী রবার্ট ভদরা, ভাই রাহুলসহ দলের নেতানেত্রীরা। এরপর সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বাবার(রাজীব গান্ধী) হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মা এবং ভাইয়ের হয়ে কিভাবে ভোট প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, নিজের জন্য এই প্রথম কোনো নির্বাচনী প্রচারণা অংশ নিলাম। সেই অনুভূতিটাও আলাদা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এবং জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সুযোগ পেলে তিনি তার প্রতিশ্রুতি মতো জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।  

অন্যদিকে রাহুল গান্ধী বলেছেন, এখন থেকে ওয়েনাড় আসনে দুইজন জনপ্রতিনিধি থাকবেন। একজন বেসরকারিভাবে অর্থাৎ সে নিজে এবং অন্যজন সরকারিভাবে অর্থাৎ তার বোন প্রিয়াঙ্কা। তারা উভয় ওয়েনাড়বাসীর পাশে আছেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা,অক্টোবর ২৩,২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।