কলকাতা: ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। তবে সেই চক্রান্ত বানচাল করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞাজিত মণ্ডল। তারা সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।
পুলিশের তথ্য মতে, চন্দন ও প্রজ্ঞাজিতের পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে হাঙ্গামা বাঁধানোর। তারা পাকিস্তানের পতাকার নিচে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার পরিকল্পনা করছিল, যাতে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেছে দুই অভিযুক্ত। দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত বনগাঁ থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বনগাঁ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বনগাঁ এলাকার অন্তর্গত আকাইপুর স্টেশনের শৌচাগারের পাশ থেকে পাকিস্তানের একটি পতাকা উদ্ধার হয়। পতাকাটি দেখে মনে হচ্ছিল, সেটি দেওয়ালে টানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছে, তারা ভারত বিদ্বেষী স্লোগান তুলে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করা পরিকল্পনা করছিল। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এ ঘটনার পেছনে আরও কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে এদিন অভিযুক্তদের বনগাঁ আদালতে পাঠানোর সময় সংবাদিকদের প্রশ্নে অভিযুক্তরা বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কোনো ইচ্ছে ছিল না। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা ঘটেছে, তার প্রতিবাদেই আমরা পাকিস্তানের পতাকা মাটিতে ফেলেছিলাম।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগায়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পরই ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই আবহে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা অবমাননার অভিযোগও উঠেছে। যদিও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তার স্পষ্ট বক্তব্য, রাষ্ট্র পতাকা অবমাননা কোনোভাবেই রুচিশীলতা পরিচয় নয়।
ভিএস/জেএইচ