ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারী বৃষ্টির জেরে অচল কলকাতার জনজীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
ভারী বৃষ্টির জেরে অচল কলকাতার জনজীবন ভারী বৃষ্টির জেরে অচল কলকাতার জনজীবন

কলকাতা: শুক্রবার রাত থেকে চলতে থাকা টানা বৃষ্টির জেরে অচল কলকাতার জনজীবন। কলকাতাসহ রাজ্যের সর্বত্রই যে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে, তা চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। এমনটাই জানালেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা গণেশ দাস।

তিনি বলেন, গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরে টানা ৪৮ ঘণ্টা কলকাতা, হাওড়া, হুগলীসহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। চলতি মৌসুমে কলকাতায় এটাই সবচেয়ে ভারী বৃষ্টি।

 
 
অতি বৃষ্টির ফলে শহরের অনেক জায়গায় জমে গিয়েছে পানি। এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না অনেকেই। কলকাতার ডালহৌসী, স্ট্যান্ড রোড, এমজি রোড, সি আর এভিনিউ, এসএন ব্যানার্জী রোড, এজেসি বোস, বেহালাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কোথাও কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর সংলগ্ন এলাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় পানি জমার খবর এসেছে।

সকাল থেকেই পৌরসভার কর্মীরা পানি নিষ্কাষণের কাজে হাত লাগিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। একইসঙ্গে পার্কস্ট্রিট ও ইএম বাইপাসসহ আরও কয়েটি জায়গায় যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এলাকার পানি বের করতে মেশিন দিয়ে ড্রেন পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে তারা। জনজীবন স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের পৌরসভার প্রতিনিধিরাও।  
 
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফারাক্কা ব্যারেজ ও গঙ্গার পানি। ফলে রাজ্যের সেচ দপ্তরে সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে জেলা প্রশাসনকেও। সজাগ থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের বির্পযয় মোকাবিলা দপ্তরকেও। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নবান্নে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।  
 
এদিকে ভারী বৃষ্টির ফলে কলকাতার ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন ধীরে চলছে গতিতে। তবে, কোনও ট্রেন বাতিলের খবর এখনও মেলেনি। বৃষ্টির জেরে সমুদ্রও উত্তাল হয়ে উঠেছে। সেকারণে মৎসজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধ জারি করা হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। এই সময় হয় আমন ধানের চাষের মৌসুম। অতি পানি জমে জমিতে যাতে চাষের ক্ষতি না হয়, নবান্ন থেকে সে দিকেও নজর রাখতে বলেছে রাজ্যের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
 
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। অতি বৃষ্টির ফলে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই খবর পাওয়া যাচ্ছে মহারাষ্ট্র থেকেও, বৃষ্টির জেরে সেখানেও জনজীনও ব্যহত।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এসএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।