ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার বানাবে কলকাতা মেডিকেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার বানাবে কলকাতা মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

কলকাতা: আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দিতে এবার অত্যাধুনিক ১১ তলা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালের করা ট্রমা সেন্টারের ছাদে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার জন্য হেলিপ্যাডও বানানোর হবে।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি এ পরিকল্পনাটির বাস্তবায়িত করতে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের কর্মকর্তারা স্পটও দেখে গেছেন।

হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. নির্মল মাজি বাংলানিউজকে জানান, শহরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে এটি হবে প্রথম।

কলকাতার মেডিকেল কলেজেই হবে অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার। পাশাপাশি ছাদে থাকছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার ব্যবস্থাও। বর্তমানে রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আরজিকর হাসপাতালে একটি অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্ট্রার রয়েছে। এছাড়া সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টারের কাজ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হবে।

হাসপাতালের ছাদে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা কী? জানতে চাইলে সূত্র জানায়, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা বা জঙ্গি হামলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুতর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে আনা সম্ভব হবে। সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি রাজ্যে সফরকালে ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের বড় বিপদ-আপদ হলেও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দ্রুত হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তাছাড়া হাসপাতালটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকায় সেখান থেকে অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীদের দ্রুত নিয়ে যাওয়াও সম্ভব।

কী ধরনের পরিষেবা থাকবে ওই ট্রমা সেন্ট্রারে? জানতে চাইলে সূত্র আরও জানায়, নিচতলায় থাকবে গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, বিভিন্ন ওয়ার্ড, আইসিইউ, একাধিক অপারেশন থিয়েটার, এইচডিইউ ইত্যাদি থাকবে। পথ দুর্ঘটনা বা অন্যান্য বিপর্যয়ে জখমদের অধিকাংশেরই পলিট্রমা বা শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগে থাকে। সে কারণে নিউরোলজি, নিউরোসার্জারি, কার্ডিওলজি ও সিটিভিএস, অর্থোপেডিক, জেনারেল সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, ওরাল ও ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জারি প্রভৃতি বিভাগের চিকিৎসকদের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের সময় থাকা খুবই জরুরি। দরকার জরুরি অপারেশনের জন্য একাধিক আধুনিক ওটি। সেসবও থাকবে।

রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের খবর অনুযায়ী, ২০২০ সালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ সম্পূর্ণ এবং এর বেশি সময়ও লাগতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যাতে প্রতিটি সরকারি হাপাতালের ভেতরে ব্যবস্থা করা যায় তারও একটা পরিকল্পনা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।