ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাম-বিজেপির ভোটের গানে জমজমাট বাংলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
বাম-বিজেপির ভোটের গানে জমজমাট বাংলা বিজেপি-সিপিআই (এম)

কলকাতা: কোথাও তারকা প্রার্থী, তো কোথাও ভোটের গান- এসব নানা চমক দেখা যাচ্ছে এবারের ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনে। তবে তারকার কণ্ঠে ভোটের গান এবারের নির্বাচনে নবতম সংযোজন। 

যা ২০১৪ এর নির্বাচনে গান বাঁধলেও এবারের গানের সুর সেভাবে সাড়া জাগিয়েছে তা অতীতে দেখা যায়নি। শুধু জনগণের মধ্যে সাড়া জাগানো নয়, এই ভোটের গান নিয়ে বিতর্কও উঠেছে তুঙ্গে।

আর সেই বিতর্ক গড়িয়েছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের দরজা অব্দী। গান পাল্টা গান, চিঠি পাল্টা চিঠির উত্তাপ এরই মধ্যে টের পাচ্ছেন নগরবাসী।

আসানসোল বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়ের কণ্ঠে গান যেমনি পৌঁছেছে জনগণের মুঠোফোনে তেমনি নালিশও গেছে নির্বাচন কমিশনে।  

‘ফুটবে এবার পদ্ম ফুল/ বাংলা ছাড়ো তৃণমূল / এই তৃনমূল আরও না…’।  

গান নিয়ে বিরোধী তৃণমূলের অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়ের গানে এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে।

এই গান নিয়ে নালিশের পর নির্বাচন কমিশনও তাদের মতামত জানিয়েছে। ৫১ লাইনের গানের ২৯টি লাইন পরিবর্তন এবং দুটি লাইনকে আংশিক পরিবর্তনে মত দেয়া হয়েছে।  

যদিও বাবুলের দল এই পরিবর্তন মানতে নারাজ। বিশেষ করে ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি’ কমিশন এই লাইন বদলাতে বলেছে। পাটা যুক্তি দিয়েছে বিজেপি। তাদের মতে, ‘দিদি’ কারোর নাম নয়। ফলে ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গ আসে না।

এখানেই অস্থিরতা থেমে নেই রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের। গানে ব্যবহার করা স্লোগানগুলো নাকি রাজ্যের এক বাম ছাত্রের। যদিও ক্ষমতাহীন বামেদের দাবিতে খুব একটা আমলে দেয়নি বিজেপি।


তবে শুধু বিজেপি নয়, ভোটের গান বাজারে নিয়ে এসেছে বামেরাও। যদিও বামেদের গণসঙ্গীত চিরকালই ধারালো খোলা তলোয়ার।  


কস্মিনকালেও তারকা প্রার্থীতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না বামেরা। অবশ্য দুই একজন তারকা সমর্থকদের এক আধবার ভোটে দাঁড় করিয়েছিল তারা। তবুও প্রতিযোগিতার বাজারে সিপিআই (এম) এর গান এবারের নির্বাচনে ইউটিউবে এলো।  

লোকগীতির অর্থাৎ ধামাইলের সুরে গাওয়া হয়েছে গানটি। এছাড়া বামছাত্র সংগঠনের তৈরি ‘চারিদিকে যা চলছে দাদা’ নামে একটি র‌্যাপ গানও নিয়ে এসেছে তারা।  

এই গানের প্রতিটি লাইনে রয়েছে বিভিন্ন অধিকারের দাবি। বাংলায় লেখা গানটি ভারতীয় অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

অন্যদিকে মা-মাটি-মানুষ অর্থাৎ তৃণমূল আপাতত মজে আছে তাদের তারকা প্রার্থীদের নিয়ে। তবে সামনে আসছে তাদেরও ভোটের গান।  

ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন- তা তো পরের কথা। তবে তারা গানগুলো শুনছেন বেশ মেজাজেই। রীতিমতো তর্ক জুড়ে দিচ্ছেন পাড়া-মহল্লার চা-য়েল দোকানে কিংবা আড্ডায়! 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৯০ দশকে পুজোর গানের চল ছিল। এখন নতুন ট্রেন্ড- ভোটের গান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
ভিএম/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।