ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

শেষ দফার ভোটে লড়ছেন পশ্চিমবঙ্গের ৩০ কোটিপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
শেষ দফার ভোটে লড়ছেন পশ্চিমবঙ্গের ৩০ কোটিপতি তিন দলের পতাকা

কলকাতা: ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের নয়টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে ১৯ মে। ভোট হবে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, কলকাতা (উত্তর), কলকাতা (দক্ষিণ), যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার ও মথুরাপুর। এই ভোটে ৯টি কেন্দ্রের মোট ১১১ জন প্রার্থীর ভাগ্য গণনা হবে।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- শেষ দফার নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে৷ যার মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলছে আদালতে৷ এ অবস্থায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তারা। বিজেপির ৫ জন, তৃণমূলের ৪ ও সিপিএমের হয়ে ২ জন ফৌজদারি মামলায় যুক্ত।

মামলার দৌড়ে প্রথমে আছেন বসিরহাটের সিপিআইএমএল বা রেড স্টারের প্রার্থী মহম্মদ মালিক। সর্বাধিক মামলায় যুক্ত রয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে মোট ৩২টি মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে৷ এরপরের স্থানে রয়েছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। ১৪টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ অপরদিকে কলকাতা উত্তরের আরেক বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার নামে রয়েছে ৭টি মামলা।

শুধু মামলা নয়, সপ্তদশ নির্বাচনে রাজ্যের প্রার্থীরা বেশিরভাগই কোটিপতি। মোট ১১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই কোটিপতি। প্রথমই রয়েছে কলকাতা দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী মিতা চক্রবর্তী। তার ঘোষিত অর্থের পরিমাণ ৪৪ কোটি রুপির বেশি। এরপরই রয়েছেন যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১২ কোটি রুপির বেশি। জানা যায় হাইকোর্টে তার কেসপ্রতি ফি ১ লাখ রুপি।

তবে বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসপ্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। পশ্চিমবঙ্গের সপ্তম দফার ৯টি কেন্দ্রের ৯ জন তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে সবাই কোটিপতি। যার মধ্যে সর্বাধিক সম্পত্তি রয়েছে কলকাতা উত্তরের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই আছে অভিনেতা দেব।

এছাড়া প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, অন্তিম পর্বে পশ্চিমবঙ্গের ১১১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২৯ জন প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। এছাড়া ১৬ জন কারিগরি বিষয় স্নাতক। ১০ জন অষ্টম শ্রেণি পাস, ১৩ জন দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছেন এবং ১৫ জন দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেছেন৷ দু’জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।

নারী ও পুরুষ প্রার্থীর পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন দলের মোট ১১১ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী ১৭ জন। এরই মধ্যে রাজ্যবাসীকে খুঁজে নিতে হবে যোগ্য প্রার্থী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ১৪ মে, ২০১৯
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।