ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাঙালির কথা বলতে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
বাঙালির কথা বলতে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন

কলকাতা: ধর্মের নামে হিংসা, বিকৃত ব্যবহার, আঞ্চলিকতাবাদ এবং জাতিগত বিদ্বেষ ও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে আধুনিক সভ্যতা ও জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে কতিপয় মানুষ। এই পরিস্থিতিতে শান্তিময় পৃথিবীর জন্য চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, শিল্প, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, এককথায় পেশাজীবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সেই দায়বদ্ধতা থেকে ‘ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্র’ নামে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন যাত্রা শুরু করলো। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির উদয় শংকর হলে এক অনুষ্ঠানে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।

 

মূলত এই সংগঠনটি মতবিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-আসাম-ত্রিপুরাসহ বিশ্বের বাঙালিরা সংস্কৃতি ও সাহিত্যের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনা ভাবনা ও দর্শন তুলে ধরতে পারবেন।
 
মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও শর্তহীন সমন্বয়ের এক ভুবন গড়ে তুলতে পারবেন। এই চিন্তা থেকে এই সংগঠনের জন্ম।  
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দূতালয় প্রধান জামাল হোসেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত, কবি বীথি চট্টোপাধ্যায় ও সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী।
 
প্রথম বছর বাংলাদেশের তরফে সম্মাননা পেলেন কবি সাইফুল্লাহ আল-মামুন, কবি ওবায়েদ আকাশ, কবি রাহেল রাজিব, কবি মনিরুজ্জামান মিন্টু, কবি অনিকেত শামীম, কবি শিহাব শারিয়ার।  

এছাড়া ভারতে সম্মাননা পেলেন কবি কাজল চক্রবর্তী, কবি মানিক দে, কবি কাকলি ঘোষ ও নৃত্যশিল্পী বারুরি।
 
সম্মাননা পর্ব শেষ হলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। তাতে যোগদান করে দুইবাংলা শিল্পীরা। গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অরিজিৎ বসু।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন শমিত সান্যাল, মোস্তাক আহমেদ, প্রভাত চৌধুরী, ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
 
আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন ঋত্বিক ব্যনার্জি, সৌমিত্র ঘোষ, অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব মন্ডল। কণ্ঠ সঙ্গীত পরিবেশন করে বিশিষ্ট শিল্পী আর্য শাওন ভট্টাচার্য, তৃণা ঘোষ, শর্বরী সেন, জিশা সিংহ রায়। কবিতার গান করেন মৌসুমী হোসেন। কবিতার নৃত্যরূপ ছিলেন মনিরা পারভীন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ভিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।