ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ স্মরণ করছে ভারতবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ স্মরণ করছে ভারতবাসী গান্ধীর মূর্তিতে ফুলের শ্রদ্ধা

কলকাতা: ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীন ভারতের উত্থানে যেসব মহান ব্যক্তির নাম চিরকালের জন্য লেখা হয়ে আছে মহাত্মা গান্ধী তাদের মধ্যে অন্যতম। তার পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। বিশ্বজুড়ে মহাত্মা গন্ধী এবং বাপু (বাবা) নামে পরিচিত তিনি। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাপু। 

বুধবার (২ অক্টোবর) গোটা ভারতজুড়ে পালিত হচ্ছে তার সার্ধশত জন্মবর্ষ।

তিনি ছিলেন ত্যাগ ও সত্যের পূজারি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় অহিংস মতবাদ। তার এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে গর্জে উঠেছিল অখণ্ড ভারতবর্ষ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি।

গান্ধীজির কর্মজীবন ক্ষমতার রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার নেতৃত্বে স্বচ্ছ সমাজ ও সাত্ত্বিক আচরণের উপর তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা, স্বার্থ, অহংকার ও বিকারের ভিত্তিতে চলা অখণ্ড ভারতের মধ্যকার এবং বিশ্বরাজনীতিকে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন। সত্য, অহিংসা ও স্বাবলম্বের মধ্য দিয়ে যেকোনো মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতার ভিত্তি গড়ে উঠুক, ভারত ও মানবতার জন্য এটাই ছিল তার স্বপ্ন।

তার কথা ও কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না কোনোদিন। নিজের ধৈর্য ও চিন্তাধারার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলেন। আর সে কারণেই মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুতে আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘আগামী প্রজন্মের পক্ষে এটা বিশ্বাস করাই কঠিন যে এরকম কোনো ব্যক্তি এই ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ’

ভারতের জাতির পিতার আবির্ভাবের ১৫০তম বর্ষে তাকে স্মরণ করছে সমগ্র ভারতবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।