ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মোদির বিকল্প কেউ নেই তাই মোদিরই জয়: অভিজিৎ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
মোদির বিকল্প কেউ নেই তাই মোদিরই জয়: অভিজিৎ

কলকাতা: ‘নরেন্দ্র মোদি প্রকৃত অর্থেই জনপ্রিয় নেতা। কিন্তু ভারতীয়রা অন্য কোনো বিরোধী নেতাকে ভোট দেওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে না পেয়েই মোদিকে বেছে নিয়েছেন।’

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে ফিরে দিল্লিতে বসে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তিনি এ কথা বলেন।

অভিজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভোটাররা সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে দেখেছেন। তাই তার ওপর আস্থা রেখেছেন। তবে, নির্বাচনী যুদ্ধজয়কে সরকারি নীতির অনুমোদন হিসেবে দেখলে ভুল হবে।

সম্প্রতি ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাম ঘেঁষা অধ্যাপক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তার তৈরি করা নীতি ‘ন্যায়’ প্রকল্প দেশের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে নেয়নি বলেও দাবি করেছিলেন রেলমন্ত্রী।

সেই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বলেন, মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু, তার সমস্ত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি। আমি মনে করি, সরকার একশটা কাজ করে। মানুষ সেই সমস্ত কাজকে একে একে বিচার করে ভোট দেন। বেশিরভাগই মোদিকে ভোট দিয়েছিলেন। মোদিকে আমি প্রকৃত অর্থে জনপ্রিয় মনে করি। তবে এও মনে রাখতে হবে উল্টোদিকে শক্তিশালী বিরোধী নেতাই ছিল না। যাকে ভোটাররা ভোট দেবে। জনপ্রিয় হিসেবে আমি মোদিকে সবসময়ই কৃতিত্ব দেই। কিন্তু, ওনার সব সিদ্ধান্তই দেশের জনগণ মেনে নিয়েছেন, এটা আমি মানি না। ভারতবাসীর সামনে বেছে নেওয়ার কোনো বিকল্প কিছু ছিল না। তাদের কাছে একটাই রাস্তা ছিল মোদি অথবা মোদি নয়। তাই মোদির ফিরে আসা।

‘কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় যোজনা (ন্যায় প্রকল্প) নিয়ে দেশজুড়ে যে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল’ সে প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, কংগ্রেসের ওই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতে রাহুল গান্ধীকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিলাম। যেহেতু এ নিয়ে কেউ আমার কাছে কোনো পরামর্শ চায়নি, তাই এর দায়ও আমি নেব না। আমার কাজ ছিল তথ্য সরবরাহ করা। যা কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে।

নোবেল জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিজেপির কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অভিজিৎ বলেন, আমি একজন পেশাদার মানুষ। তাই আমার গায়ের চামড়া খুবই মোটা। আমরা সবাই রাজনৈতিক মানুষ। রাজনীতি আমাদের মনে থাকে। তাছাড়া নীরব থাকলে বিরাট মূল্য চোকাতে হয়।

দেশে ফিরেই বাঙালি নোবেলজয়ী অভিজিৎ ভারতের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের যেভাবে সমালোচনা করছেন তাতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা চমকে উঠছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আগে মোদির বিরোধীতায়, বাম ঘেঁষা তকমা লাগা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বিজেপি শিবির।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
ভিএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।