ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

তফসিল ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
তফসিল ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতা: আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়সূচি দিল্লি থেকে ঘোষণা হতে পারে। আর ইতোমধ্যেই ভোটের সাজ সাজ রব শুরু হয়ে গেছে রাজ্যে।

ফলে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই রাজ্যে পা রাখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যে মোট ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেই ধাপে ধাপে মোট ১২৫ থেকে ২০০ কোম্পানি বাহিনী আসবে পশ্চিমবঙ্গে।

ইতোমধ্যে কলকাতা স্টেশনে শনিবার দিবাগত রাতে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছেছে। তারা দুর্গাপুরে পৌঁছে গিয়েছে। দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলায়। বাকি আট কোম্পানি এদিনই ঢুকবে। বাহিনীর সদস্যরা ভোটারদের আস্থা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহলদারি শুরু করবেন।

রাজ্যের উত্তেজনাপ্রবণ কোন কোন জেলায় টহলদারি করবে তার তালিকাও তৈরি হয়ে গেছে। যতদিন নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হয় ততদিন রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে—এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে
ধারণা করা হচ্ছে এবারের বিধানসভা নির্বাচন শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের কাছেই হাইভোল্টেজ ভোট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে—এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতোমধ্যেই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পশ্চিমবাংলার রাজনীতি।

রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের বিজেপি বারবার শাসক দলের বিরেুদ্ধে আঙুল তুলছে, ‘বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ’ বলে। সেই মতো নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশও করেছে তারা। কমিশনও এক সমীক্ষায় দেখেছে রাজ্যে ২০ শতাংশ এলাকা অতি স্পর্শকাতর।

বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এই পাঁচটি জেলার উপরে বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের। তবে ভোট ঘোষণা হলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় সে কারণে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে।

তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলতে এবার শুধু সিআরপিএফ দিয়ে নির্বাচন হবে না, রাজ্যে আসছে ‘সিআইএসএফ’, ‘বিএসএফ’, ‘এসএসবি’, ‘আইটিবিপি’র মতো বাহিনীর সদস্যরা। কলকাতাসহ রাজ্যের যেসব এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ সেখানে ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়াতে টহল দেবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।