ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ধর্নায় মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ধর্নায় মমতা

কলকাতা: ভোটারদের প্ররোচনা ও জনসভায় উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচনী প্রচারণায় ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো প্রচার সমাবেশ করতে পারবেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোটের প্রচারের শেষ দিন মঙ্গলবার। ফলে একাধিক জনসভা ও প্রচারসভা ছিল মমতার। ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা পড়ায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে এসপ্ল্যানেডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন মমতা। সেখানে অবস্থান করবেন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

এদিন তিনি বেলা ১২টার কিছু আগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে হুইল চেয়ারেই  ধর্নায় বসেন। তবে মঞ্চে তিনি একাই ছিলেন।

৫ম দফার ভোটের প্রচারণার শেষদিন মঙ্গলবার। এদিন প্রচারণা চলবে রাত ১০টা অবধি। তবে রাত ৮টার পর দুটি জনসভা করবেন মমতা। একটি উত্তর ২৪পরগনার বারাসতে, অপরটি ৪৫ মিনিট পর বিধাননগরে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের প্রচারণায় কেন নিষেধাজ্ঞা? নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্ররোচনা এবং উস্কানি ছড়ানোর মতো ভাষণ দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রচারে মেরুকরণ ও ধর্মীয় বিভাজনের মতো বিষয়গুলি তার বক্তব্যে ফুটে উঠছে। এতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। সে কারণেই মমতাকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মমতা। তার কথায়, এভাবে বিজেপি আমার কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। আটকানো যাবে না আমাকে। বাংলার কোটি কোটি প্রতিবাদী মানুষই আমার কণ্ঠস্বর।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ইতিহাসে এমন নিষেধাজ্ঞা প্রথম। ফলে তুমুল তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে বলেছে, এইভাবে আমাদের নেত্রীকে আটকানো যাবে না। সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে একমাত্র তৃণমূলই।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা, ফিরহাদ হাকিমরা ঘটনার প্রতিবাদে ট্যুইট করেছেন। ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বলেও অ্যাখ্যায়িত করেছেন অনেকে।

প্রতিবাদ জানিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা অর্থাৎ সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তারা জানিয়েছেন, যেভাবে তিনি (মমতা) প্রচারণায় প্ররোচনা দিচ্ছেন তাতে বেঠিক পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। তবে এ ধরনের প্ররোচনা বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকেও আসছে। শুধু মমতাকে দোষারোপ করা মানে কমিশনের একচোখা বিচার বলে মনে হচ্ছে।

এরপরই মঙ্গলবার সকালে একই কারণে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।