ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভোট শেষে হতেই ফের চাঙ্গা নারদাকাণ্ডের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
ভোট শেষে হতেই ফের চাঙ্গা নারদাকাণ্ডের মামলা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো নারদাকাণ্ড। এ মামলায় তৎকালীন চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

রোববার (৯ মে) রাজভবনের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে তালিকায় এবার নাম নেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর।

বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করে ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরমধ্যে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবার ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন।

সোমবার (১০ মে) নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নাম রয়েছে ফিরহাদ ও সুব্রতর। এই প্রেক্ষিতে কোন এক্তিয়ারে রাজভবন অনুমতি দিতে পারে তার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে।

বিবৃতিতে রাজভবন জানিয়েছে, যে সময় তারা মন্ত্রী ছিলেন সেটি বিবেচনা করে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল।

বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘুষকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ১৬৩ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদ মেনে সিবিআই, রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। সেই আবেদনে এদিন সায় দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

তবে তালিকায় কেন শুভেন্দু অধিকারীর নামে নেই, সেই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের ব্যাখ্য়া, শুভেন্দু অধিকারী নারদাকাণ্ডের সময় সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি বিধায়ক ও মন্ত্রী হন। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে গেলে সংসদ ভবনের অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। তাই নাম নেই শুভেন্দুর।

অপরদিকে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে তাকে এবারের ভোটের লড়ার টিকিট দেয়নি বিজেপি। কিন্তু দল খারাপ রেজাল্ট করায় দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। এমনকি তার তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও শোনা যাচ্ছে।

২০১৬ সালে মমতার সরকারের ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গোপন ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই ২০১৭ সালে নারদাকাণ্ডে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের ওপর। তারপর থেকেই মামলা চলছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই ফের আরও একবার রাজ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল নারদাকাণ্ড।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।