ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে আংশিক লকডাউন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
পশ্চিমবঙ্গে আংশিক লকডাউন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়লো আংশিক লকডাউনের সময়সীমা। যদিও রাজ্য সরকার একে কড়া বিধি-নিষেধ বলে জানিয়েছে।

সেই সঙ্গে রাত ৯টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত শহরে চলাফেরায় যে বিধি-নিষেধ ছিল, তা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কোনোভাবেই জনসাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন চালু করা যাবে না। শুধু স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। তবে ৫০ শতাংশ সাধারণ যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন মেট্রোরেল চলবে। শনিবার এবং রোববার বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল পরিষেবা।

এছাড়া ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্বসহ যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, আইনশৃঙ্খলা এবং কৃষিকাজে উৎপাদিত দ্রব্যসহ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ বজায় থাকবে।

এছাড়া গত ১৬ জুলাই থেকে রাজ্যে যে বিধি-নিষেধ জারি ছিল, তা বহাল থাকবে। স্কুল, কলেজে, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিংসহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শহরের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপথে পরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের দুই ডোজের করোনা টিকা নেওয়া থাকতে হবে। তবে এখনও চালু হয়নি আন্তঃজেলা গণপরিহন।

পাশপাশি সিনেমা হল এবং পার্লার বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ, শপিংমল ও পানশালা খোলা থাকলেও একই সময় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ক্রেতা বা মানুষ ঢুকতে পারবেন। তবে রাত ৮টার পর রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা রাখা যাবে না। তবে অত্যাবশ্যকীয় এবং অনাবশ্যকীয় দোকানপাট নির্দিষ্ট সময় অব্দি খোলা রাখা যাবে। সেলুনগুলো খোলা থাকবে ৫০ শতাংশ মানুষের উপস্থিতিতে। সুইমিং পুল বন্ধ থাকলেও রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়াস্তরের সাঁতারুদের জন্য সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সুইমিং পুল খোলা রাখা যাবে।

এছাড়া যাবতীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিনোদন এবং ধর্মীয় সংক্রান্ত জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। স্বাভাবিক সময়বিধি মেনে সরকারি অফিস চলবে ২৫ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতিতে। বেসরকারি অফিসগুলোয় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে বেসরকারি কর্মীদের ওয়াক ফ্রম হোমের বিষয় জোর দিতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা বেসরকারি অফিসে এসে কাজ করবেন তাদের দুটি ডোজের টিকাকরণ, মাস্ক, এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কারখানা, মিল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ চলতে পারে। ব্যাংক খোলা রাখা যাবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। ই-কমার্স ও হোম ডেলিভারি চালু রাখা যাবে। পেট্রল পাম্প, গ্যাসের দোকান খোলা থাকবে।

বুধবারই রাজ্যজুড়ে কোভিড সংক্রমণের হার হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। বিধি-নিষেধ শিথিল হতেই রাতের শহরে চলাফেরা, কাজকর্ম, আমোদপ্রমোদের কারণে বেড়েছে বলে নজরে এসেছে প্রশাসনের। রাজ্যে গত একদিনে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৮১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।