ঢাকা: পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আশুলিয়ার সব কারখানা খোলা থাকবে। সেইসঙ্গে শ্রমিকরা তাদের পাওনাদি শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রাত সাড়ে সাতটায় তিনি এসব জানান।
তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আমরা ২০ ডিসেম্বর কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই। এরই মধ্যে ৩০টিরও অধিক শ্রমিক সংগঠন বিজিএমইএ-কে লিখিতভাবে কারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে শ্রমিক ভাই-বোনদের অনুরোধক্রমে সার্বিক দিক বিবেচনা করে শ্রম আইনের ১৩ (১) প্রত্যাহার করে কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
তবে এক্ষেত্রে শ্রমিকরা বন্ধ থাকা কয়েক কার্য দিবসের মজুরি পাবেন না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ হয়েছিল, সুতরাং সেই অনুযায়ী আমরা সব পদক্ষেপ নেবো।
অন্যদিকে, শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী। তাই মামলা চলবেও আইন অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।
ছাটাই হওয়া শ্রমিকদের বিশেষভাবে পুনঃনিয়োগ পাওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রমিক ছাটাই হয়েছে আইন অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যদি তারা ফিরে আসতে পারেন, আসবেন। তাতে আমাদের বিশেষ কিছু বলার নেই।
বাড়িভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন বছর আশুলিয়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া না বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা এ বিষয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বা বিজিএমইএ'র হটলাইনে ফোন করলে শ্রমিকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির।
মজুরি বাড়ানো, বাড়িভাড়া না বাড়নো, শ্রমিক ছাটাই না করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ১১ ডিসেম্বর থেকে আশুলিয়ার গার্মেন্টস শিল্প এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ২০ ডিসেম্বর মালিকপক্ষ জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে আশুলিয়ার ৫৫টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
ইউএম/এসএনএস
** সোমবার খুলছে আশুলিয়ার সব বন্ধ গার্মেন্টস