ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

দাম কমাতে রড উৎপাদনকারীদের ১২ দফা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৮
দাম কমাতে রড উৎপাদনকারীদের ১২ দফা দাবি ফাইল ফটো

ঢাকা: রডের মূল্যবৃদ্ধি কোনো সিন্ডিকেটের কারণে হয়নি বলে দাবি করেছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা। দাম কমানোর জন্য সরকারের কাছে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন রি-রোলিং স্টিল মিলস মালিকদের তিনটি সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ।

আরও বক্তব্য রাখেন টো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন।

১২ দফায় ৫টি স্বল্পমেয়াদি ও ৭টি দীর্ঘমেয়াদী দাবি জানানো হয়েছে। স্বল্পমেয়াদী দাবির মধ্যে রয়েছে; সরকারের এক্সেল লোড আদেশ স্টিল শিল্পের জন্য শিথিল করা, জাহাজ থেকে স্টিল পণ্য অফডকে না পাঠিয়ে সরাসরি বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া, কাচাঁমালে স্ক্যাপের ওপর আরোপিত সিডি ১ হাজার ৫শ’ টাকার পরিবর্তে ৫শ টাকা এবং এআইটি ৮শ টাকা থেকে কমিয়ে ৪শ টাকা, কেমিক্যাল ফেরো এলয়েসের ওপর আরোপিত এআইটি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ হাজার ২শ’ টাকা এবং আরডি ১৫ শতাংশ প্রত্যাহার, ব্যাংক সুদের হার কমানো এবং গ্যাস বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরা।  

দীর্ঘমেয়াদী দাবির মধ্যে রয়েছে; এক্সেল লোড আদেশটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা, নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে গতিশীল করা, সরকারি-বেসরকারিভাবে ট্রাক ফেরি সার্ভিস চালু করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁও পর্যন্ত নদী পথে পরিবহন খরচ কমিয়ে আনা, কমলাপুরের আইসিডি গাজীপুরে স্থানান্তর করা অথবা গাজীপুরে নতুন একটি আইসিডি স্থাপন করা, চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকার মধ্যে কন্টেইনার ট্রেন সার্ভিস চালু করা, বন্দর থেকে মালামাল অফডকে না পাঠিয়ে  সরাসরি বন্দর থেকে ডেলিভারি দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোনো সিন্ডিকেট রডের দাম বৃদ্ধি করেনি। আমদানি ব্যয়, উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় রডের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশে রডের দাম এখনো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে কম। বরং বিশ্ববাজারে রডের কাঁচামালের মূল্য টন প্রতি ৩১২ ডলার থেকে ৪২৭ ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কাচাঁমাল আমদানি পর্যায়ে ডলারের মূল্য ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৪ টাকা হয়েছে। এতে করে প্রতি টনে খরচ বেড়েছে এক হাজার ৭০৮ টাকা।  

এছাড়াও সরকার কর্তৃক এক্সেল লোড আইন প্রর্বতনের কারণে প্রতি টন রডের পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮০ টাকা। সে সঙ্গে দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ডলারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখার জন্য রডের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসই/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।