ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

ভাড়াভিত্তিক ইজারায় চালু হবে বন্ধ পাটকল: পাটমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২১
ভাড়াভিত্তিক ইজারায় চালু হবে বন্ধ পাটকল: পাটমন্ত্রী

ঢাকা: বিজেএমসির বন্ধ পাটকল দ্রুততম সময়ে ভাড়াভিত্তিক ইজারা পদ্বতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনঃচালুর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তির আওতায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তালিজ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে (এফডিআই) আগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানরা যুক্ত ছিলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী জুড়ে পাটের কদর ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট চাষিরা বর্তমানে কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। চলতি পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের গড়দর ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ফলে পাটচাষিরা এ মৌসুমে অধিক পরিমাণে পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছে। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে পাটখাতের অবদান আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা যায়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৯৫৩ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।

মন্ত্রী বলেন, বেসকারি ব্যস্থাপনায় পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সাথে এসব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সব শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে। বেসরকারি পাটকলগুলোর উৎপাদনশীলতা ও ব্যবস্থাপনার কৌশলের কারণে দেশের অর্থনীতিতে পাটখাতেন অবদান আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, উৎপাদন বন্ধকৃত ২৫টি মিলের মধ্যে ৪টি মিলের (জাতীয়, খালিশপুর, দৌলতপুর ও কেএফডি) মিলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি আগস্ট ২০২০ মাসে পরিশোধ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানকৃত ৩৪,৭৫৭ জন স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনাদি ২ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে পাওনার ক্ষেত্রে অর্ধেক নগদে ও অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধের সিদ্ধান্ত আছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১টি মিলের সবগুলোতে নগদ অংশ পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ১,৭৬৯.৪১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ৩১৭৫৭ জন শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে ১৬৬২.১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বরাদ্দের প্রায় ৯৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিত স্থায়ী সমাধানসহ পাটখাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি পাটকল গত বছরের ১ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।