ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন জুনাইদ আহমেদ পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। একমাত্র শিক্ষকবৃন্দই তাদের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।

কারণ শিক্ষকরা হচ্ছেন মোমবাতির মতো, নিজে জ্বলে মানুষ, সমাজ, দেশ আর বিশ্বকে আলোকিত করেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, নেতৃত্ব এবং মানবিক গুণাবলিতে আলোকিত করেন।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসএমএস এর মাধ্যমে অবসর ভাতা প্রদান এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এর কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পলক বলেন, যখন যেখানে দরকার সেখানেই থাকবে সরকার’-এ স্লোগান বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে।

তিনি বলেন, মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ এবং ৫৬ লাখ ইন্টারনেট সংযোগকে ১৩ কোটি সংযোগে উন্নীতকরণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। দেশে আট হাজার ৮৬৩টি ডিজিটাল সেন্টার নাগরিক সেবাকে সহজ করেছে, অর্থ ও সময়ের অপচয় রোধ করেছে, হয়রানি বন্ধ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক আব্দুল হামিদের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই। আর এই সোনার মানুষ তৈরি করেন শিক্ষকরা।

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশে ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপকল্প প্রদান করেন। ওই সময়ে এটি অবাস্তব চিন্তা বলে সমালোচিত হলেও আজ তা অতি বাস্তব। বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সারা বিশ্বের অগ্রগামী দেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সংবিধানে পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাকেন্দ্রীক চিন্তাধারা ৫০ বছর পরেও সারা বিশ্বের মানুষ অনুসরণ করছে। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এমডিজি, এসডিজির মতো উন্নয়ন পরিকল্পনা।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৮৪ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীকে এসএমএস এর মাধ্যমে স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হওয়া অবসর সুবিধার প্রতীকী চেক হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

বিকেলে চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া-সারদানগর সাবমার্সিবল রাস্তার উদ্বোধন, হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন শেষে শতভাগ শিক্ষিত আদর্শ মডেল স্মার্ট হুলগুলিয়া বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে স্থাপনদিঘী গ্রামে একটি ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে সন্ধ্যার দিকে স্থাপনদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠন আয়োজিত শোকাবহ আগস্ট পালন উপলক্ষে এক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।