সাইবার অপরাধী এবং গুপ্তচরদের থেকে প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে প্রতিবছর লোকসান হয় ২৫ কোটি ডলার। সাইবার অপরাধের স্বীকার হয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো শত শত কোটি ডলার হারাচ্ছে।
একটি সংঘবদ্ধ সাইবার চক্র কৌশলে সমস্যা কিছুটা নিরসন করতে পারে। এ ছাড়া সরকারও ব্যাপকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এ পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বিতর্কিত।
ফোর-স্টার জেন. কিথ আলেকজান্ডার, সিক্রেটিভ ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সি এবং পেন্টাগন সাইবার কমান্ডের প্রধান বলছেন, নিষিদ্ধ সাইবার স্পেসের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত সম্পদের সর্বাধিক হস্তান্তর হয়েছে। এ বছর আলেকজান্ডার কংগ্রেসকে আগাম সতর্ক করে দেয়। আর জানানো হয়, সাইবার হুমকির প্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
এদিকে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের শিল্প বিশেষজ্ঞরা এবং শিক্ষার্থীদের আলাপচারিতায় আলেকজান্ডার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর মূল্যবান সম্পদ চুরির ঘটনায় ২৫ কোটি ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। এ সময় শীর্ষস্থানীয় একটি সিকিউরিটি সফটওয়্যার নির্মাতা সিমেন্টেকের তথ্যচিত্র তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিকভাবে সাইবার আক্রমণে ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়। তবে এ সংখ্যা বেড়ে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারে পৌছানোর আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া ইন্টেলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেকাফি বিশ্বের শীর্ষ স্থানের কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং সিকিউরিটি কোম্পানি আরও উচ্চমাত্রার পরিসংখ্যান দেখিয়েছে। তারা বলছে, প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাপী ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।
এদিকে আলেকজান্ডার বলেছে, ২০১১-১২ সালের সম্প্রতি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় এলোপাথাড়ি সাইবার স্পেস যুদ্ধ চলছে। কিন্তু সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবাদ এ মুহূর্তে আরও বেশি সোচ্চার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৫ ঘন্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর