ভক্তদের অধীর অপেক্ষায় রেখেছে অ্যাপল। কারণ আইফোন-৫।
আসছে সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে এবার আইফোন-৫ আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা জাগিয়েছে অ্যাপল। উৎপাদন ব্যবস্থায় গতি আর দিনরাত পণ্য তৈরিতে চীনের সাংহাই এখন মুখর। কারণ আইফোন-৫ এর জন্য খুচরা পণ্য প্রস্তুত। তবে আইফোন ৫ নিয়ে অ্যাপল সিইও টিম কুক এখনও নিরবতাই পালন করছেন।
আইফোন-৫ মডেলের হাত ধরে বিশ্বপ্রযুক্তিতে ‘ন্যানো-সিম’ এর আর্বিভাব হচ্ছে। এ ছাড়াও আছে ১৯ পিনের পাওয়ার এবং কেন্দ্রীয় সংযোগ ব্যবস্থা (কানেক্টর)। এর আগে ২০০৩ সালে থার্ড জেনারেশন আইপডে ৩০ পিনের আধুনিক প্রযুক্তির আর্বিভাব হয়।
এদিকে আইফোন-৫ মডেলে থাকছে ফোর জেনারেশন (ফোরজি) ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা। তবে এ নেটওয়ার্ক শুরুতে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যবহারযোগ্যতা পাবে। তবে ইউরোপ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুতই এ নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে।
অ্যাপলই হবে বিশ্বের প্রথম ‘ন্যানো সিমকার্ড’ উদ্ভাবিত প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে অ্যাপল, নকিয়া এবং ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা রিম চিপকার্ড ব্যবহারযোগ্য করে সেট তৈরি করেছে। তবে এখনও এসব সেট ভোক্তাদের নাগালে আসেনি।
ন্যানো-সিম প্রযুক্তির কারণে স্মার্টফোনের অবয়ব ৪০ ভাগ ছোট হয়ে এসেছে। এরই মধ্যে মাইক্রো-সিমযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। এ তালিকায় আইফোন ৪এস, স্যামাসাং গ্যালাক্সি এস৩ এবং নকিয়া লুমিয়া মডেল অন্যতম। গত ১২ মাসে এ মডেলগুলো বিশ্বপ্রযুক্তির বাজার মাতিয়ে রেখেছে।
এখন তাই অপেক্ষা আইফোন-৫ নিয়ে। আসছে সেপ্টেম্বরেই এ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এতে দুটি সংস্করণ থাকবে। একটি থ্রিজি। অন্যটি থ্রিজিএস। ভবিষ্যতের স্মার্টফোন বিশ্বের চেহারাই বদলে দেবে আইফোন-৫। এমনই তথ্য দিচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য তথ্যমাধ্যম।
এদিকে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ডিজিটাইমস জানিয়েছে, আইফোন-৫ প্রস্তুত প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করতে চীনের সাংহাইয়ে অবস্থিত অ্যাপল পণ্যনির্মাতা পেগাট্রোন এখন দারুণ কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। কাজ চলছে দিনরাত। এ প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রজন্মের আইপ্যাড তৈরিতেও কাজ করছে।
এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে একটি চালান প্রস্তুত করতেই কাজ পেগাট্রোন এখন অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আসছে ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবারেই অ্যাপল কোনো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আইফোন-৫ মডেলকে অবমুক্ত করবে। আর অ্যাপলের ইতিহাসে এটি হবে নতুন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় যাত্রা।
বাংলাদেশ সময় ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১২