১৮ বছরের চেয়ে কম বয়সী নারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এমন আইন জারি করেছে ভারতের রাজস্থান পঞ্চায়েত।
তাদের দাবি, মোবাইল ফোন তাদের শিক্ষায় মনোনিবেশে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এমনকি কম বয়সী কিশোর সমাজও বিপথে চলে যাচ্ছে। ঠাট্টা মজার মতো বিভিন্ন অপ্রয়োজনে তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্র সুস্পষ্ট করে বলেছে, এমন দাবি জানানোর পরেও ভারত ২১ শতকের লক্ষ্যে শক্তিশালী জাতি গঠন করতে চাইছে। আমাদের সম্মুখে এগোনোর বহু উপায় আছে। আগে আমদের নারী জাতির মৌলিক অধিকারের বিষয়টি উদ্বেগমুক্ত করতে হবে।
রাজস্থানের ঝনঝনা জেলার উদোয়পোরাটির গ্রাম পঞ্চায়েতের এটি পুন:পদক্ষেপ। তারা আরেকটি আইন জারির বিষয় বলছে, মেয়েরা যখন ঘরের বাহিরে বের হবে তখন পর্দা করবে। আইএএনএস প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনের অন্য সূত্রে জানানো হয়, কিশোপুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এ আদেশ উপেক্ষা করে প্রমাণ করেছে মোবাইল ফোন মেয়েদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে না। এদিকে পঞ্চায়েত সদস্য জানান, এসব দাবি বিবেচনার জন্য সম্প্রতি পঞ্চায়েত সদস্যরা বয়োজ্যেষ্ঠ্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে।
এখানে গুরুজনরা জোর দিয়ে বলছে গ্রামের অধিক সংখ্যক মেয়েদের অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা হবে। স্থানীয় একজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে ফোন মেয়েদের অপ্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দিচ্ছে। ফলে সামাজিক সভ্যতা অবজ্ঞা করে বিপথে যাচ্ছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে গ্রামের প্রত্যেকে একমত হয়ে জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা কঠিনভাবে মেনে চলা হবে।
এ মুহূর্তে অপরাধ এবং অশ্লীল কর্মকান্ডের জন্য রাজস্থান তালিকার শীর্ষে। এর মধ্যে আছে নারীর প্রতি নৃশংস আচরণ, নিম্ন শ্রেণীর জাতির ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা। গত বছরে এসব ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
বাংলাদেশ সময় ১০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর