ঢাকা: সেন্সর বোর্ডকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠন করবো। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সেন্সর বোর্ড, জুরি বোর্ডসহ এ ধরনের যে কমিটিগুলো রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করা উচিত। অনেকগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর অবস্থায় আছে। সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যদি নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, সেই চলচ্চিত্রগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বজন প্রীতি কিংবা ব্যক্তিগত পরিচয় যাতে বিবেচনায় না নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সেন্সর বোর্ডের কারণে যে ছবিগুলো আসেনি সেগুলো নিয়ে আমরা দ্রুতই বসবো। সেন্সর বোর্ডকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠন করবো। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততার সঙ্গে গতিশীল করা দরকার আধুনিকীকরণ করা দরকার। সেগুলো খুবই স্থবির অবস্থায় আছে। বিটিভিকে দেখলে মনে হয় এটা আশি-নব্বই দশকের বিটিভি। ওই জেনারেশনই বিটিভি দেখে, আর কেউ বিটিভি দেখে কিনা আমরা জানি না।
তিনি বলেন, এর একটা দিক হলো এর দলীয়করণ, রাজনীতিকীকরণ আছে, আরেকটা হচ্ছে, কনটেন্টগুলো মনে হচ্ছে এ প্রজন্মের জন্য নয়। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকীরণ করা উচিত। সরকারি একটা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কিছু সরকারের অ্যাসাইন করা লোক বসবে, কিছু পদ দখল করে বসে থাকবে, এ রকমটা যাতে না হয়।
চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের চলচ্চিত্রের জায়গা থেকে অনেক আকাঙ্ক্ষা। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮,২০২৪
জিসিজি/আরবি