যুক্তরাজ্যের রাজধানী ম্যানচেষ্টারকে এ মুহূর্তে পাইরেসির শহর বলে অভিহিত করা হয়েছে। মিউজিকমেট্রিকের নতুন এক গবেষণা ফলাফলে বিষয়টি লক্ষণীয়ভাবে আসায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এটি ফলাও করে প্রকাশ করে।
গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্যে অবৈধ ডাউনলোডের হার চরমভাবে বেড়েছে। অন্য যে কোনো দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় ম্যানচেষ্টার শীর্ষে। এখানকার প্রতিটি মানুষ অবৈধভাবে ফাইল ডাউনলোড করে। শহরগুলোর মধ্যে নটিংহ্যাম এবং সাউথাম্পটন অন্যতম।
উল্লেখ্য, মিউজিকমেট্রিকের গবেষণা পর্যবেক্ষণকে অধিক কার্যকরী বলা হচ্ছে। কারণ তারা স্বতন্ত্রভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছে যেখানে একচেটিয়া অবৈধ ডাউনলোডের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পরিসংখ্যানের সবশেষ তথ্য ২০১২ সালের প্রথম অর্ধে যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা এই পথে ৪০ মিলিয়ন অ্যালবাম, সিঙ্গেল অ্যালবাম ডাউনলোড করে। এমন খবর আসায় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্রুপ বলছে ‘ বিশাল সমস্যা বিরাজমান ’।
গ্রেগরি মিড মিউজিকমেট্রিকের প্রধান নির্বাহী জানায়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোকে অখ্যাত ‘পাইরেট বে’র কার্যক্রম বন্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিবে। বিশ্বব্যাপী বিটটরেন্টের গতিবিধি অনুযায়ী অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা একইসময়ে একই পদ্ধতিতে এই সুযোগ গ্রহণ করে থাকে।
এ গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যমান ইলিগ্যাল ডাউনলোডিং মাধ্যমগুলোর কার্যক্রম বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া। যার ফলে চিহিৃত বহুল ব্যবহৃত পাইরেসি ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করা এবং গুগলের সার্চ রেজাল্ট অপসারণ করা সম্ভব হয়।
মিউজিকমেট্রিকের অনুসন্ধানী তথ্যে আরো বলা হয়েছে সঙ্গীত শিল্পী ইডি সিরানের অ্যালবাম উক্ত সময়সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাইরেট হয়েছে,এর পরে রিজল কিকসের ‘স্টেরিও টিপিক্যাল ’এবং রিহানের ‘টক দ্যাট টক’। তবে বিশ্বব্যাপী ‘টক দ্যাট টক’ পাইরেট হয়েছে সর্বাধিক।
সংখ্যার বিচারে ইডি সিরোনের ২০১১ অ্যালবাম প্লাস ডাউনলোড হয়েছে প্রতিমাসে গড়ে ৫৫ হাজার ৫১২ বার। এটি যুক্তরাজ্যের ৪৬০’র বেশি শহরে অধিক জনপ্রিয় হিসেবে ডাউনলোড হয়েছিল।
উক্ত সময়সীমায় নিয়ম অনুসারে ইডি সিরোনের অ্যালবাম বিক্রি হয় ৪৪৮,০০০। যে সংখ্যা চতুর্থ জনপ্রিয় অ্যালবামের তালিকায় নিয়ে যায়। যার মধ্যে ছিল পপ সিঙ্গার আডল, ইমেলি স্যানডি এবং লানা ডেল রেই কে এর অ্যালবাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘন্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২