সঙ্গীত যত পুরোনোই হোক না কেন, সৃষ্টিশীল সঙ্গীত কখনই হারিয়ে যায় না। ইতিহাসের পথ বেয়ে ফিরে আসে বারবার।
ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণে কোয়ার্টজ গ্ল্যাস প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো কথা জানিয়েছে হিটাচি। বৈশ্বিক আবহাওয়া যেকোনো বৈরী আচরণেও এ তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম থাকবে অবিকৃত আর কার্যকর। অর্থাৎ মানুষের আজীবন তথ্যের নিশ্চয়তা দেবে এ বিশেষ প্রযুক্তির কোয়ার্টজ স্টোর।
অবয়বে দেখতে স্বচ্ছ কাঁচের মতো। এতে কোনো ধরনের দাগও (স্ক্র্যাচ) পড়বে না। আধুনিক এ সময়ে সব কিছুই ডিজিটাল তথ্যনির্ভর হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যম, বিনোদন, চলচ্চিত্র এমনকি ব্যক্তিতথ্যও হয়ে উঠছে ডিজিটাল ঘরানার।
এখন আর সিডির যুগ নেই। এসেছে ইউএসবির খুদে এবং তরিৎ তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি। সঙ্গে আছে এমপিথ্রির বর্ণিল কৌশল। এসব কিছুকেই ছাড়িয়ে যেতে ‘কোয়ার্টজ গ্ল্যাস’ প্রযুক্তি তথ্যমাধ্যম এখন গবেষণায় সফলতা আর বাস্তব রূপ পেয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অতীতের তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস এবং সভ্যতার উন্নয়নে তথ্য সংরক্ষণের অভাবে অনেক তথ্যই আজ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। তাই আজীবন সংরক্ষণযোগ্য কোনো তথ্যগত পদ্ধতি মানব ইতিহাসকে আরও গতিশীল এবং দিকনির্দেশনাপূর্ণ করবে।
এমন ভাবনা থেকেই হিটাচি এ ধরনের তথ্যপণ্য উদ্ভাবনে গবেষণার উদ্যোগ নেয়। এসব কথা জানালেন হিটাচির শীর্ষ পর্যায়ের গবেষক কাজুইয়োশি তোরিল। তবে কবে নাগাদ এ কোয়ার্টজ প্রযুক্তির তথ্যপণ্য বাজারে আসবে তা সুনিশ্চিত করে জানায়নি হিটাচি সূত্র।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২