আরব বসন্তের হাওয়া এখনো লাগেনি সৌদি আরবে। তবে সৌদি রাজ পরিবার নিয়ে খোলামেলা আর তুমুল সমালোচনা চলছে সামাজিক সাইট টুইটারে।
তরুণ আইনজীবী থেকে শুরু করে এ প্রজন্মের ভাবনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রত্যেকেই সরকারের দুর্নীতি এবং সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে সমালোচনায় অংশ নিচ্ছে সোশ্যাল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। এমনকি স্বয়ং সৌদি বাদশাও এ আলোচনা থেকে রেহাই পাননি।
সৌদি আরবের ৩১ বছর বয়সী আইনজীবী ফয়সাল আবদুল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, এ মুহূর্তে টুইটার আমাদের কাছে গণতান্ত্রিক সংসদ। এখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনীতিবিদরাও সরাসরি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রমতে, অধিকাংশ ব্যবহারকারী তাদের আসল নাম ব্যবহার করেই সমালোচনা করছেন। ২৯ লাখ টুইটার ব্যবহারকারী আছে সৌদি আরবে। এটি সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
টুইটারের সক্রিয় ব্যবহারকারী সৌদির সালমান আল আউদা এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকার এবং জনগণের মধ্যে প্রতিদিনই দুরত্ব বাড়ছে। শাসকরা কেউ জানে মানুষের মনের কথা।
গত মাসে সৌদির জাতীয় দিবসে প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজীজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা সবাই বিলাসী জীবন-যাপন করি। টুইটারের সৌদি প্রিন্সের এ বক্তব্য চরমভাবে বিতর্কের তোপে পড়েছে। টুইটারে সবাই বলছে ‘আমরা’ বলতে প্রিন্স রাজপরিবারের কথা বুঝিয়েছেন। মোটেও সৌদির জনগণের কথা বলেননি। এক টুইট বার্তায় একজন বলেছেন, আমাদের মেডিকেল ইন্সুরেন্স নেই, চাকরি নেই। আমরা কিভাবে বিলাসিতা করবো? তারা এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সৌদি প্রিন্সের কাছে।
এমনকি টুইটারের সমালোচনা এখন সাধারণ মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে। সৌদি টিভির টকশোগুলোতে সৌদি প্রিন্সের এ বক্তব্য নতুন বিতর্কে ফেলেছে সৌদি রাজপরিবারকে।
বাংলাদেশ সময় ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর