প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেলের পেছনে খরচ হয় বিপুল অর্থ। খরচের পরিমাণটি জানার চেষ্টা করতেই এবার বেরিয়ে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, চ্যাটজিপিটিকে ‘প্লিজ’ এবং ‘ধন্যবাদ’ বললে কোম্পানির কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়। প্রতি ‘ধন্যবাদে’ কোম্পানিটির খরচ ১০ সেন্ট।
একজন এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী এক পোস্টে অল্টম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এআই মডেলগুলোর প্রতি ভালো আচরণ দেখানোর ফলে ওপেন এআই-এর কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। তখন অল্টম্যান তার কোম্পানির এই বিশাল খরচের কথা জানান।
যখন কোনো কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণ দেয়— যেমন ছবি চিনতে বা ভাষা বুঝতে শেখায়— তখন তারা বিশাল পরিমাণ তথ্য এবং অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে। এসব হার্ডওয়্যারের মধ্যে থাকে জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট), টিপিইউ (টেনসর প্রসেসিং ইউনিট) বা অন্যান্য শক্তিশালী চিপসেট।
এই প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়া খুবই জটিল এবং বিদ্যুৎ-নির্ভর। বড় মডেল যেমন জিপিটি-এর মতো একটি এআই মডেল তৈরি করতে গিয়ে শত শত মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হয়ে যায়—যা দিয়ে সাধারণ একটি বাড়ি বহু বছর চালানো সম্ভব।
শুধুই আর্থিক নয়, এমন ব্যয়ের পরিবেশগত প্রভাবও গুরুতর। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, রিভারসাইড এবং ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, আর্লিংটনের গবেষণায় দেখা গেছে, ডেটা সেন্টারগুলোকে ঠাণ্ডা রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয়। প্রতি এক হাজার প্রশ্নের জবাব তৈরিতে যে তাপ তৈরি হয়, তা কমাতে প্রায় ৫০০ লিটার পানি ব্যবহৃত হয় বলে ধারণা করা হয়। জেনারেটিভ এআই-কে সাধারণত প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তবে মাইক্রোসফট কোপাইলটের ডিজাইন টিমের একজন পরিচালক কার্টিস বিভার্সের অন্য পর্যবেক্ষণও আছে। মাইক্রোসফট ওয়ার্কল্যাবের একটি স্মারকে তিনি বলেন, এআই-এর সাথে যোগাযোগ করার সময় মৌলিক শিষ্টাচার ব্যবহার করলে তা শ্রদ্ধাশীল ও সহযোগিতামূলক ফলাফল দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
এসএস/এমএম