কল অব ডিউটির ব্ল্যাক অপস টু ছাড়ার মাত্র ২৪ ঘন্টায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুত্র মতে, এতো অল্প সময়ে অত্যাধিক বিক্রি যা প্রতিষ্ঠানের এ যাবত কালের সমস্ত বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।
ব্ল্যাক অপস ২ হচ্ছে কল অব ডিউটি ফ্রান্সিস তালিকার ৯ নম্বর ভিডিও গেম এবং ব্ল্যাক অপস ২০১০ এর সিকুয়্যাল। ১৩ নভেম্বর মধ্যরাতে বিশ্বব্যাপী ১৬ হাজার স্টোরে চালু হয় সিকুয়্যালটি । এটি আগামীর ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি, আছে গেমার চাহিদার পছন্দের গল্পাবলীর উপস্থিত যা কল অব ডিউটি ফ্রান্সিসের মধ্যে প্রথম। গেমাররা এতে থ্রিডি ডিসপ্লে সুবিধাও পাবে। এ গেমের বৈশিষ্ট্য সিঙ্গেল পার্সন শুটার। কল অব ডিউটির আবির্ভাব কালের বিক্রির রেকর্ডে এটি সবচেয়ে সফল রেকর্ড । স্টার ওয়ার এবং হ্যারি পটারকে ছাড়িয়ে গেমিং মার্কেটের আধিপত্য এখন ব্ল্যাক অপস টু এর কাছে। উল্লেখ্য, ফলাফল অপ্রত্যাশিত নয় কারণ এইবার এমন কিছুর প্রতিফলন আসবে আগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। আর অবশেষে ধারণাকে সত্য করে দিয়েছে ব্ল্যাক অপস টু।
যুক্তরাষ্ট্রের গেম উন্নয়ক এবং প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাকটিভিশন এ গেমের একদিনের আয়সহ কিছু বিষয় উল্লেখ করে। শীর্ষে অবস্থানকারী ব্ল্যাক অপস টু ২০১১ সালে আসা কল অব ডিউটির মর্ডান ওয়ারফেয়ার থ্রি এর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০১০ সালে ব্ল্যাক অপস এর প্রথম সংস্করণ দিনে ৩৬০ মিলিয়নের বেশি বিক্রি হয়। যা কল অব ডিউটির মর্ডান ওয়ারফেয়ার টু এর বছরে ৩১০ মিলিয়ন ডলারের আয় অতিক্রম করে ।
অ্যাক্টিভিশনের সিইও রবার্ট কোটিকের মতে, এ পর্যন্ত এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেটের বৃহদায়তন শেয়ারসহ অন্যান্য দৃষ্টান্তমূলক বিষয় হচ্ছে গেমিং এর উপস্থাপন। ববি কটিক আরো জানান চার বছরের মধ্যে কল অব ডিউটির এ বছরের সবচেয়ে বিশাল এন্টারটেইনমেন্টের যাত্রা । অফিসিয়াল বিবৃতিতে এক দিনের বিক্রির বিষয়টি বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে উপস্থাপন করা হয়।
ব্র্যান্ড পণ্য হিসেবে কল অব ডিউটি ক্রয়ে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছে সবাই যোগ করেন অ্যাক্টিভিশনের প্রকাশকারী সিইও এরিক রিসবার্জ। প্রতি নভেম্বরে যথাযোগ্য গেম বাজারে ছাড়া হয়। তাই বিশ্বের গেম জগতের লোক এ মাসকে ‘কল অব ডিউটি মৌসুম’ বলে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ঘন্টা, ১৯ নভেম্বর, ২০১২