‘সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তি দেশ ও দশের উন্নতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৮ নভেম্বর বুধবার থেকে প্রথমবার চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ‘বিসিএস ডিজটাল এক্সপো চট্টগ্রাম ২০১২’।
ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা এবং ডিজিটাল জীবনধারাভিত্তিক পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর কম্পিউটার সোর্স প্রদর্শনীতে জাপানি অরিজিন ফজিৎসু ব্রান্ডের বাহারি ল্যাপটপ, বিশ্বসেরা অ্যান্টিভাইরাস নরটনের ৩৬০, ইন্টারনেট সিকিউরিটির হালনাগাদ সংস্করণ এবং ফক্সন ব্রান্ডের মাদারবোর্ড।
ডিজিটাল এক্সপোকে বৈচিত্র্যময় করতে পণ্য প্রদর্শনের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি, সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় ব্যান্ড দল রিভার্ব, তরঙ্গস্কোয়ার্ড, শিল্পী জাহেদ ছাড়াও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দর্শনার্থীদের জন্য আছে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বুধবার নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিজেকেএস জিমনেসিয়াম হলে ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আলহাজ্ব এম মঞ্জুর আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামে একটি বিশেষায়িত বাজার তৈরিতে সহযোগিতার কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ সিজেকেএয়ের সাধারণ সম্পাদক আজম নাসির উদ্দিন, কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ফয়েজউল্যাহ খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক মোস্তাফা জব্বার, বিসিএস কম্পিউটার সমিতির পরিচালক মজিবুর রহমান স্বপন, জেনারেল সেক্রেটারি শহীদ উল মুনির, চট্টগ্রাম শাখা কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল, বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো চট্টগ্রাম ২০১২ আসরের আহ্বায়ক মুহম্মদ কামরুল হাসান সিদ্দিকী, কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক মুখলেসুর রহমান বাদল উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে আশুলিয়া ও নগরীর বহদ্দারহাট দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির দেশি-বিদেশি স্থানীয় জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ব্র্যান্ড, আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী ২৬টি প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট স্থানজুড়ে ৫০টি স্টল এবং ৬টি প্যাভেলিয়নে এসব প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। তবে স্কুল শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময় ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর