৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড গ্রহণ করছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। শরতকালের এক বিবরণী বার্তায় যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী এবং কোষাগার পরিচালনার উপ-প্রধান জর্জ অসবর্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্পখাতের উন্নয়নে ৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
বিবরণী তথ্য মতে, সর্বাধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো উন্নয়নের দারা দেশকে প্রাচুর্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে বিশাল পরিমান এ অর্থ সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।
২০১০ সালে গঠন করা অর্থ তহবিলের সর্বমোট অর্থের পরিমান এখন ২ বিলিয়ন পাউন্ড। বর্তমানে প্রদানকৃত অর্থ যা আধুনিক সরাঞ্জাম, জীববিদ্যা সংক্রান্ত কার্যক্রম, বিশাল পরিসরে ডাটা গণনা এবং কর্মশক্তি সংরক্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ যায়গাগুলোর প্রয়োজনীয় সুবিধাবলী এবং ব্যয় সংক্রান্ত মাধ্যমে ব্যবহার করে উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করছে সরকার দপ্তরটি।
গবেষণা কর্মের বৃহৎ এবং বিশেষ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে সরকার এর কর্তৃত্বে আসে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলী কার্যক্রম প্রচারণা পরিচালক ইমরান খান এই সমর্থন সানন্দে গ্রহণ করে। তিনি জানান, আমাদের প্রত্যাশা ছিল সরকার তাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। আমরা সত্যিই নতুনভাবে প্রতিশ্রুতি পেয়ে আনন্দিত।
এছাড়া অনবর্নের সঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রম প্রমাণ করে সে বোধগম্য হয়েছিল উচ্চ-প্রযুক্তিভিত্তিক জাতিতে পরিণত করতে যুক্তরাজ্য অবশ্যই ক্ষমতাপ্রদানে সক্ষম হবে। তাছাড়া আগামীতে নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সস্তা শ্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রতিদ্বন্দীতা করা কঠিন হবে। যার কারণে উক্ত মাধ্যমগুলোকে বাদ দিয়ে যুক্তরাজ্যের শ্রেষ্ঠতা লাভের ভাবনা নিশ্চিতভাবে সমস্যার মুখে পড়বে।
তিনি এছাড়াও জানান, চ্যান্সিলরের মৌলিক গবেষণা বাদেও যুক্তরাজ্যের শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনার একটি বৃহৎ অংশে বিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তাধারাকে আমরা সাধুবাদ জানায়। গবেষণা গোষ্ঠীর অবকাঠামো হচ্ছে সহায়তার উপলক্ষ্য যেখানে চলমান প্রয়োজনের তুলনায় সফলতামূলক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। শুরু থেকেই সরকার এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশে ক্রমান্বয়ে অতিরিক্ত ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে।
বিজ্ঞান মন্ত্রী ডেভিড উইলেটস জানান, বিজ্ঞান এবং নব উদ্ভাবন হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির অপিরহার্য একটি অংশ। আর ১.৫ বিলিয়নের সাথে যোগ হল ৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এ ধরনের প্রণোদনা যুক্তরাজ্যের উচ্চ-প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমের অগ্রগতিতে সমর্থন করবে। এছাড়া দেশের সমৃদ্ধি, আগামী প্রজন্মের কর্মস্থান এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি দাড় করাতে এটা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘন্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১২