সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বিশ্বজুড়ে যেমন জনপ্রিয় তেমনি সমালোচিত। কেননা অনেক অসৎ উদ্দেশ্যধারীরা এখানে নানা ধরনের ফাঁদ পেতে থাকে।
যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত একজন ব্যক্তির বৈধতা নিয়ে করা চ্যালেঞ্জের জয় হয়েছে উচ্চ আদালত বিচারক মি. জাস্টিক এমসিক্লোসকির আদালতে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে তার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি । এদিকে ফেসবুককে পেজটি নামিয়ে নেওয়ার জন্য ৭২ ঘন্টা সময় দেয় আদালত।
ফেসবুকের একজন নারী মুখপাত্র জানান, ‘ আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আদালতের বিচারের আলোকে করার চিন্তা করছি আর এই অবস্থাতে কিছুই বলার নেই‘।
দোষী ব্যক্তি শুধুমাত্র এক্সওয়াই বলেই পরিচিত। সামাজিক এ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পর তার ছবি এবং ফেসবুকে দেওয়া ভীতিমূলক কিছু মন্তব্য উদ্ঘাটন করা হয়। যেখানে দেখা যায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ এতে লাইক দিয়েছে। পেজটির শিরোনাম ছিল ‘ শিকারীদের হতে আমাদের বাচ্চাদের নিরাপদে রাখ’ ।
এছাড়া এমসিক্লোসকির দেওয়া রায়ের পর আরো কিছু পোষ্ট দেয়। যার মধ্যে আছে ‘ ফেসবুক কি আমাদের জন্য এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা কিংবা লড়তে পারেনা কি’। আমরা যদি মানুষের প্রকৃত ঘটনা পোষ্ট করতে পারি তবে বিশেষকরে আমাদের বাচ্চারা নিরাপদে থাকবে---- মার্ক জুকারবার্গ দয়া করে এদিকটাই এগিয়ে আস, তোমার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
ফেসবুককে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করার পর লোকটির ছবি এবং মন্তব্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তার আইনি দল জোড়ালো কন্ঠে জানিয়েছে এ ধরনের পেজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৫২০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১২